পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- ২৯ মার্চের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। সেই আবহেই রাজ্য পুলিশের তরফে শনিবার ২৫শে মার্চ সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে সার্কুলার জারি করা হয় , যাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবে সিভিক ভলান্টিয়াররা, পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বে-আইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবে সিভিক ভলান্টিয়াররা।
কিন্তু শনিবার ২৫শে মার্চ পূর্ব বর্ধমান জেলার, মেমারি থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চকদিঘী মোড় থেকে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে মেমারি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ মেমারি চকদিঘী মোড়ে দুটো বালি বোঝাই ট্রাককে জোড়পূর্বক দাঁড় করিয়ে ওই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার তোলা তোলে এবং তারা দিতে রাজি না হলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
মেমারি থানার অন্তর্গত পাল্লার মামুদপুর নিবাসী ট্রাক ড্রাইভার বিপ্লব বিশ্বাসের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ শনিবার ভোরে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার দুজনকে গ্রেপ্তার করে মেমারি থানার পুলিশ। জানা যায় ধৃতদের নাম রাজকুমার মান্না ও সেখ আশিকুল রহমান। জানা যায় তারা মেমারি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত খাঁড়োর বাসিন্দা। ধৃতদের শনিবার সকালে সুনির্দিষ্ট ধারা রুজু করে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়।
ধৃত দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরকম ভয় দেখিয়ে তোলা আদায় করে বিভিন্ন ভাবে। রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে বিতর্কের মাঝে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে সিভিক গ্রেপ্তারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।