শিলাবৃষ্টির তান্ডব লীলায় আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে কৃষকদের, সরকার সাহায্য না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে দাবি কৃষকদের।

0
990

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ রবিবার বিকালের প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে দফারফা হল বাঁকুড়ার কোতুলপুর এবং ইন্দাস ব্লকের বোরো ধান সহ গ্রীষ্মকালীন ফসলের। বিঘের পর বিঘে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে এলাকার সাধারণ কৃষকদের। তবে শুধু ফসলেরই ক্ষতি হয়েছে এমনটা নয়, পাশাপাশি রবিবারের শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে এলাকার বহু বাড়ির টিন, অ্যজবেস্টাস,টালি ও খড়ের চালের।

রবিবার বিকালে ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় কোতুলপুর এবং ইন্দাসের আকাশ। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় প্রবল ঝড়, বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে লাগাতার শিলাবৃষ্টিও হয়। আর শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের সাঁড়াশি প্রভাবে কার্যত মাটিতে শুয়ে পড়ে বিঘের পর বিঘে জমির বোরো ধান। গ্রীষ্মকালীন সবজী গাছ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এমনিতেই চলতি বছর আলুর দাম না পাওয়ায় চূড়ান্ত লোকসান হয়েছে এলাকার কৃষকদের। বোরো ধান ও গ্রীষ্মকালীন সবজী তুলে সেই লোকসানের বহর কিছুটা পূরণের আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু মাঝপথে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে বোরোধান ও গ্রীষ্মকালীন সবজী পুরোপুরি নষ্ট হতে বসায় এখন মাথায় হাত পড়েছে কোতুলপুর ব্লকের অধিকাংশ কৃষকের । কৃষকদের একটা বড় অংশের দাবী এভাবে একের পর এক লোকসানের পর আর কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তার ওপর মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে চাষ করতে হয়েছে এবার মহাজনের ঋণ কিভাবে শোধ হবে কিভাবে সংসার চলবে, এলাকার দিশেহারা কৃষকরা এখন তাকিয়ে রয়েছেন সরকারী ক্ষতিপূরণের প্রত্যাশায়। সরকার যদি তাদের ক্ষতিপূরণ না দেয় আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা ।
কোতুলপুর ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জমি পরিদর্শন করলেন কোতুলপুর ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা মনোজিৎ মন্ডল।