উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মৌমিতা ও ঐন্দ্রিলা রক্তে বাঁচলো দুই ছোট্ট শিশু।

0
327

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কথায় বলে আঠারো মানে না কোন বাধা। আঠারো বছর বয়সীরা সব সময় বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যায়। বালুরঘাটের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পথের দিশা ফাউন্ডেশন এর সদস্যা ১৮ বছর বয়সী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মৌমিতা সাহা ও ঐন্দ্রিলা সাহাও ১৮ বছরের ছন্দে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে ভালোবাসো। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এই দুই ছাত্রী বুধবার এগিয়ে এলো দুই থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্তদানের মধ্যে দিয়ে জীবন দান করতে। ফাউন্ডেশন এর কাছে এদিন আবেদন আসে যে পাঁচ বছর বয়সী থ্যালাসেমিয়া রোগী পায়েল মূর্মু ও রেনুকা কিস্কুর ঐন্দ্রিলা ও মৌমিতা এদিন বালুরঘাট ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকটের দিয়ে যাচ্ছে তাই শিশুদের বাঁচানোর লক্ষ্যে পথের দিশার কাছে আবেদন আসা মাত্রই তারা তাদের সদস্যদের মধ্যে এই বার্তা ছড়িয়ে দেয়। বার্তা পেয়েই ১৮ বছর বয়সী মৌমিতা সাহা ও ঐন্দ্রিলা সাহা রক্তদানে এগিয়ে আসে।মৌমিতা ও ঐন্দ্রিলার এই উদ্যোগের ফলে যেভাবে ছোট্ট শিশুর প্রাণ বাঁচবে তা সত্যি প্রশংসাযোগ্য। এই বিষয়ে মৌমিতা সাহা ও ঐন্দ্রিলা সাহা জানায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ আমরা দুজনেই পথের দিশা ফাউন্ডেশন নামে সংগঠনের সদস্যা। এর আগে এই সংগঠনের দাদা দিদিদের দেখতাম রক্তদান করতে আমাদেরও ইচ্ছে ছিল ১৮ বছর পার হলেই সকলের মত রক্ত দান করে মানুষের জীবন বাঁচাবো। আজ দুটি ছোট্ট শিশুর জন্য জীবনের প্রথম রক্তদান করতে পেরে ভালো লাগছে। পথের দিশা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৌরভ রায় বলে মূলত আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে এই সংগঠন করে তুলেছি। আমরা রক্তদান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকি। মৌমিতা ও ঐন্দ্রিলা অনেকদিন ধরেই আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ১৮ বছর না হওয়ায় এর আগে তারা রক্তদান করতে পারেনি। এদিন যখন পাঁচ বছর বয়সী দুই শিশুর জন্য রক্তদানের আবেদন আসে আমরা আমাদের সদস্যদের জানাতেই মৌমিতা ও ঐন্দ্রিলারা আজ তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে রক্ত দান করবে। তাদের কথা ফেলতে পারেনি আজ আমাদের এই দুই কনিষ্ঠা সদস্য রক্তদানের মধ্যে দিয়ে আমাদের রক্ত আন্দোলনের যোধ্যায় পরিণত হলো। ওরা অনেক এগিয়ে যাক অনেক বড় হোক এই কামনা করি।