নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট : ভার্মিকম্পোস্ট অত্যন্ত জৈব এবং এতে কোনো রাসায়নিক নেই, মাটির প্রান কেচো থেকে তৈরি হয় বলে তা পরিবেশবান্ধব হিসেবে পরিচিতি। এই সারে উৎপাদিত্য শস্য পুষ্টিবর্দ্ধক ও গুনগত মান বেশ উৎকৃষ্ট হয়ে থাকে।তার ফলে বাজারে এসব শস্যের ভাল দাম মিলে থাকে।পাশাপাশি স্বল্প পরিশ্রমেই এই সার তৈরি র মধ্যে দিয়ে নিজেদেরও আর্থিক দিক দিয়ে সাবলম্বি করে উঠতে এর জুরি মেলা ভার।সেদিকে লক্ষ রেখেই বালুরঘাট সহ বেশ কিছু আদিবাসি অধ্যুষিত এলাকার মহিলাদের প্রশিক্ষনের মধ্যমে স্বনির্ভর করে তুলতে এগিয়ে এসেছে চেষ্টা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ্যা।
বালুরঘাট শহরের অদুরে ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভুষিলা অঞ্চলের কৃষি প্রধান এলাকার আদিবাসি মহিলাদের প্রশিক্ষনের মধ্যমে এই ভার্মি কম্পোজ বা কেচো সার তৈরির মধ্যমে আর্থিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর করে তুলবার ব্যাপারে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গেছে।এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ্যাই এসব আদিবাসি মহিলাদের উৎপাদিত কেচো সার কিনে তা বাজারজাত যেমন করছে। তেমনি এদের দেখাদেখি যাতে আরো মহিলারা তাদের নিজেদের সাবলম্বি করে তুলতে পারে সে ব্যাপারেও স্বচেষ্ট হয়েছে।
যদিও যে সব আদিবাসি মহিলাদের দাবি তাদের এই কাজে আরো উৎসাহ বাড়ত যদি সরকার থেকে তাদের নানা ভাবে বিশেষ করে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় তবে তারা যেমন উপকৃত হতেন।তেমনি আমাদের কাজ দেখে গ্রামের অন্য মহিলারাও এই কাজে নিযুক্ত হয়ে নিজেদের সাবলম্বি করে তুলতে পারতেন।
তবে যারা এই প্রকল্প রুপায়ন ব্রতি হয়েছে সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ্যার দাবি তারা এভাবেই গ্রামের আদিবাসি মহিলাদের কেচো সার তৈরির মধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলার ব্যাপারে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন, কেননা তাদের বাজার জাত করবার জন্য চিন্তা করতে হচ্ছে না, নগদেই তাদের কাছ থেকে তাদের উৎাপাদিত সার কিনে নেওয়া হচ্ছে। তাই তারা আশাবাদি এভাবেই একসময় আদিবাসি মহিলা হিসেবে পিছিয়ে থাকার তকমা ঘুচিয়ে তারা তাদের কর্মদক্ষতায় নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলে নতুন দিনের আলো ফোটাতে সক্ষম হবেন।