পাকা সেতু না হওয়ার জন্য দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে গ্রামের মানুষদের।

0
172

উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- স্বাধীনতার ৭৫ বছরে যখন এগিয়ে যাচ্ছে সারা ভারত বর্ষ । কমবেশি উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন জায়গায় তখন আশ্চর্যের বিষয় হলেও সত্য এই ভারতবর্ষের এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র একটি পাকা সেতু না হওয়ার জন্য দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে গ্রামের মানুষদের।গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার একটি মাত্র রাস্তা ভাঙ্গা চোরা বাঁশের সেতু।যা উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত বাংলাদেশ সংলগ্ন রাধিকাপুরের চক দিলাল গ্রামে অবস্থিত। ই গ্রামের মানুষদের বিয়ে হচ্ছে না একমাত্র টাঙ্গন নদীর উপর পাকা সেতু না থাকায়।

গ্রামবাসীরা জানান তারা এখন এতটাই সমস্যায় আছে যে তাদের কান্নার কথা কেউ শোনেন না।ভোটের সময় শুধু প্রতিশ্রুতি মেলে তারপর যেই কার সেই।ফলে বাধ্য হয়ে বহু কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীরা।অনেকে বলেন বয়স পেরিয়ে গেলো তবুও আমার বিয়ে হচ্ছে না।দিদির ও বিয়ে দিতে পারছি না।একমাত্র টাঙ্গন নদীর উপর পাকা সেতু না থাকায়। গ্রামবাসীরা আরো বলেন এলাকায় টাঙ্গুন নদীর উপর পাকা সেতু না থাকায় যে বাশের মাচা তৈরি করা সেতু রয়েছে সেই সেতু দিয়ে চলাফেরা করার সময় অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে প্রায় নিত্যদিনই। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে আরম্ভ করে সাধারণ মানুষ কৃষক সবাইকে এই বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। সেতুটির অবস্থা এখন এতটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে যে কোন সময় বড়োসড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে নিত্যদিনই এই ব্রিজ থেকে পড়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন। কয়েকশো মিটার দীর্ঘ এই বাঁশের মাচার উপর সেতুটি একমাত্র ভরসা থাকায় গ্রামের মানুষদের অনেক সময় দেখা যাচ্ছে বিপদজনকভাবে মোটরসাইকেল নিয়েও তাদের এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার করতে। গ্রামবাসীরা অনেকেই বলছেন সামনেই পঞ্চায়েত ভোট যদি এর মধ্যে ব্রিজের কাজ শুরু না হয় তাহলে এবার ভোট বয়কটের পথেও যেতে পারেন তারা। অনেকে বলছেন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও তারা এখন পরাধীন হয়ে রয়েছে। সবদিক দিয়ে। তবুও স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে বিধায়ক ও সাংসদ তাদের দিকে একবারো তাকান না আজ তারা কেমন অবস্থায় রয়েছেন। কবে ব্রীজ হবে। কবে? আর পাঁচটা জায়গার মতন তারাও পাকা ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন এখন সেটাই চাতক পাখির মতন তারা তাকিয়ে রয়েছেন প্রশাসনের উপর।

এ ব্যাপারে রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিক্রম দেব শর্মা কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিধায়ককে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত ব্রিজের কোন কাজ নিয়ে অগ্রগতি হয়নি।।
বাইট।।
রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিক্রম দেব শর্মা