প্রেমে প্রত্যাখ্যান,প্রেমিকার বাবা মা ও দিদিকে খুন, গুরুতর আহত প্রেমিকা।

0
226

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: পাশের গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর ঘনিষ্ঠতা। মেয়ের পরিবার জেনে গিয়েছিল সবটা। সম্পর্ক মেনে নিতে পারেন নি বাবা মা। আর তাতে মেয়ের প্রেমিকের সমস্ত আক্রোশ গিয়ে পড়ে প্রেমিকার বাবা-মায়ের ওপর। আর সেই কারণেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রেমিকার বাবা বিমল বর্মন, মা নীলিমা বর্মন মৃত্যু হয় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে এবং বড় মেয়ের মুক্তি বর্মনের মৃত্যু হয় কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে বিমলবাবুর ছোট মেয়ে ইতি বর্মনের সাথে প্রেম পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের। কিন্তু চার বছর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জানা জানি হলেই প্রেমিকার বাবা মা তা মানতে নারাজ। তার জেরেই ইতি ও বিভূতির প্রেমেও ইতি টেনেছে। সেই রাগের বসে প্রেমিকা ও বাবা-মা সহ চার জনকে খুন করার চেষ্টা করে। প্রেমিকা বেঁচে গেলেও প্রেমিকার বাবা মা ও বড় দিদির মৃত্যু হয়। যদিও ঘটনাস্থলে প্রেমিক বিভূতিকে ব্যাপক ভাবে প্রহার করে স্থানীয়রা। সে বর্তমান চিকিৎসাধীন কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত স্বামী-স্ত্রীর নাম বিমল চন্দ্র বর্মন নীলিমা বর্মন এবং মেয়ে রুনা বর্মন। মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। আর এ নিয়ে পরিবারে অশান্তিও হয়। মেয়েকে ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে বলা হয়েছিল। অভিযুক্ত যুবককেও বিষয়টি জানানো হয়।তারপর এই ঘটনা। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

এদিন এবিষয়ে ইতির প্রেমিক বিভূতি রায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে জানান, ইতি আমার সাথে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রেম করে। তারপর হঠাৎ করে কিছুদিন আগে সে আমার সাথে ব্রেকআপ করে। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর প্রেম করার পর সে কেন আমাকে ধোঁকা দিল আমি বারবার জানতে চাই। কিন্তু সে আমাকে পাত্তা দেয় না। সেই কারণে আজ সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রথমে ইতির মা,পরে তার বাবা, তারপর দিদিকে চাকু মারি। পরে ইতিকে চাকু মারি। একটা মানুষের জন্য তিন জনের প্রাণ গেলো কিছুটা হলেও খারাপ লাগছে। তবে যা হয়েছে ভালো হয়েছে বলে দাবি অভিযুক্ত যুবককে।