মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ৭ তম বার্ষিক জনজাতির সম্মেলন (Indian Tribal Convention)।

0
442

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনজাতি আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ কৃষ্ণ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করে তুলতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ৭ তম বার্ষিক জনজাতির সম্মেলন (Indian Tribal Convention)। সম্মেলনটির শুভ সূচনা হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গনে ৩ দিনব্যাপী জনজাতি সম্মেলনে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড সহ ভারতবর্ষের মোট ৯টি রাজ্য থেকে জনজাতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৩০০০ প্রতিনিধি যোগদান করেছেন বলে জানান মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ। জনজাতি সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজনদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কদিন তুলে ধরা হবে সর্বসাধারণের মধ্যে। শ্রীচৈতন্যদেবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা যেন সমাজের মূল স্রোতে নিজেদের প্রতিষ্ঠাতা করতে পারে মূলত সেই কারণেই প্রতিবছর ইসকন মায়াপুর মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই জনজাতি সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলেও এদিন জানান ইসকন মায়াপুর মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক। মায়াপুর ইসকন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায় ভুক্ত শিশুদের ভারতীয় সংস্কৃতি ও শিক্ষা দীক্ষায় পারদর্শী করে সমাজের মূল স্রোতে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে তাদের শিক্ষা দানের জন্য মোট ১৯০ পাঠশালা ও 18 টি স্কুল চলছে। যেখানে প্রায় ৫,৫০০ জন ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষাদান করেন ২৮০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন জনজাতি অধ্যুষিত জেলায় আদিবাসী শিশুদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে আবাসিক পাঠশালা ও স্কুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে ইসকনের পক্ষ থেকে যেখানে ৪০ থেকে ৪৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা প্রতিনিয়ত তাদের শিক্ষাদান করেন। পাশাপাশি সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত এই সব মানুষজনদের মধ্যে শীতবস্ত্র ,খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় বিতরণ করা হয়। এছাড়াও তাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে নিকট চায় স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করা হয়েছে ইসকনের পক্ষ থেকে বল এই দিন জানান রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ। আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ যৌন শিশুদের সামাজিকভাবে সংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও যথোপযুক্ত সংরক্ষণ সহ তাদের মধ্যে চৈতন্যদেবের ভক্তিভাব ও সাম্যবাদ গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে জনজাতি মানুষজনদের সামাজিক অভ্যুত্থানের লক্ষ্যেই এই জনজাতি সম্মেলনের আয়োজন বলে জানান তিনি।