বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা:- খোদ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই চুপিসারে চলছিল এলাকায় থাকা জলাশয় ডোবা ভরাটের কাজ। যার ফলে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থ্যা পর্যদুস্ত হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দেয় স্থানিওদের মধ্যে। খবর পেয়েই দ্রুততার সাথে জলা ভরাটের জায়গায় পৌছে ওই জলা ভরাটের কাজ আটকে দেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র।
যদিও সরকারি স্তরে যে কোন রকমের জলা ভরাটের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কি ভাবে খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডে থাকা ডোবা ভরাটের প্রচেষ্টার সাহস দেখাল এই নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জনমানসে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানিও বাসিন্দাদের অভিযোগ এর আগেও এই ডোবা বোজানোর প্রচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ওই ডোবাটি বোজানো হলে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থ্যা বেহাল হয়ে পড়বার আশংকা দেখা দেওয়ায় স্থানিওরাই বালুরঘাট থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সেই সময় ভরাট কাজ বন্ধ করে দিলেও যার জলা জায়গা তিনি তা শুনছেন না। স্থানিওদের আরো অভিযোগ পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করার কথা বলে যাওয়ার পর কয়েক দিন এসব বন্ধ রেখেছিল তারা। কিন্তু হঠাৎ করে ফের তারা জলা ভরাটের কাজ আরম্ভ করলে বিপাকে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। কেননা এলাকার সমস্ত নিকাশি র জল এই ডোবাতেই জমা হয় গিয়ে। সামনেই আসছে বর্ষা সে ক্ষেত্রে এই ডোবা ভরাট হলে এলাকায় চলাচল করাই এক প্রকার দায় হয়ে পড়বে এলাকার বাসিন্দাদের। এরপরেই পুরসভায় অভিযোগ জানানো হয়। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই নিজের ওয়ার্ডের জলা ভরাটের বিষয়টি বন্ধ করতে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র সাথে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার দপ্তরের লোকজনকে ও তিনি নিয়ে আসেন। চেয়ারম্যান কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি যাতে ওই এলাকার সুস্থ্য নিকাশি ব্যবস্থ্যা করা যায় তার নির্দেশ দেন তার সাথে আসা ইঞ্জিনিয়ারদের।
পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে জানান, যদিও এটা তার নিজের ওয়ার্ডের ব্যাপারটা চলছিল, জলা ভরাটের ঘটনা জানা ছিল না, খবর পেয়েই ছুটে এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পাশাপাশি এলাকায় নিকাশি নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা যাতে সুস্থ্য ব্যবস্থ্যা গড়ে তোলা যায় তার জন্য সংগে থাকা পুর ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছি। আশাকরি দ্রুত সমস্যা মিটে গিয়ে এলাকায় সুস্থ্য নিকাশি ব্যবস্থ্যা গড়ে তোলা সম্ভব হবে, বলে তিনি জানান।