কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাস্তার কাজে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বরাদ্দে অন্য জায়গার রাস্তা নিজের বাড়ি থেকে পুকুর যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার ১ নং ব্লকের পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাকুড় তলা এলাকায়। ওই ঘটনা নিয়ে রাত দিন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম আমিনুর রহমান। সে কোচবিহার ১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ। যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। যদিও অভিযুক্ত আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর সংসদে রুবেল রহমানের বাড়ি থেকে হায়দার মিয়ার বাড়ির দিকে প্রায় ৭০ মিটার কংক্রিটের রাস্তা তৈরিতে কোচবিহার ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির পঞ্চদশ কমিশন-এর তহবিল থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু সম্প্রতি নিয়ম ভেঙে ওই রাস্তাটি তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আমিনুর রহমানের বাড়ি থেকে তার পুকুরঘাট পর্যন্ত ওই রাস্তা তৈরি করে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় এলাকায়।
এদিন এ বিষয়ে হায়দার মিয়া অভিযোগ,এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার নামে রাস্তার সাইন বোর্ড। আমি একজন সাধারন মানুষ আমি সব সময় নামাজ রোজা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আমিনুর রহমান এ ধরনের কাজ করেছে। আমি চাই আমার বাড়ির পাশের যে রাস্তা রয়েছে সেটা করে দেওয়া হোক।
যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমিনুর রহমান। তার বক্তব্য এলাকার কিছু বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা আমার বিরুদ্ধে কলকাটি নেড়ে আমার বদনাম করানোর চেষ্টা করছে। সেখানে কোন দুর্নীতি হয়নি। সিডিউল অনুযায়ী রাস্তা তৈরি হয়েছে। ওই রাস্তাটি এলাকার বহু মানুষের কাজে আসবে।
যদিও এবিষয়ে আমিনুর রহমানের কথার গুরুত্ব দিতে নারাজ্য স্থানীয় বাসিন্দা তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা মানিক রহমান। তিনি আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাকুড় তলা এলাকার ১৭৯ এবং ১৮০ নং বুথের পঞ্চায়েত সমিতি আমিনুর রহমান তার বাড়ির যে সিসি রোড সেটা অনেকদিন আগে হয়েছে। কিন্তু তার বাড়ির পিছনে একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুর যাওয়ার জন্য একটি সিসি রোড করেছেন। সেটি হলো রুবেল রহমানের বাড়ি থেকে হায়দার আলীর বাড়ি পর্যন্ত হওয়ার কথা। সেই রাস্তাটি পঞ্চায়েত সমিতি নিজের প্রভাব খাটিয়ে কোচবিহার ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির পঞ্চদশ কমিশন-এর তহবিল থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু সম্প্রতি নিয়ম ভেঙে ওই রাস্তাটি তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আমিনুর রহমানের বাড়ি থেকে তার পুকুরঘাট পর্যন্ত ওই রাস্তা তৈরি করে বলে অভিযোগ। একজন নেতা তার প্রভাব খাটিয়ে এভাবে নিজে সব কিছু আত্মসাৎ করবেন তা এলাকা বাসী মেনে নেবে না। তাই আমরা বিডিও অফিসের অধিকারীদের জানিয়েছি। পাশাপাশি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ও প্রাক্তন মন্ত্রীকে বিষয় টি জানিয়েছি। তারা যেন এই ঘটনার বিস্তারিত জেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এলাকাবাসী।