আগে ছিল সি.পি.আই.এম এর হার্মাদ এখন হয়েছে বিজেপির জল্লাদ,– বাঁকুড়ায় এসে মন্তব্য অভিষেকের।

0
212

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- আজ বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেডিয়ামে একটি দলীয় কর্মীসভায় যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতি মতন এক হস্তে নিতে দেখা গেল কেন্দ্রের সরকারকে। তিনি বলেন কোভিড পরবর্তী সময়ে অন্ধ স্টেশনে আর কোন ট্রেন দাঁড়ায় না, মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাঁকুড়া জেলায় তো দুই দুজন বিজেপির সাংসদ আছে তারা কি করছে। তিনি বলেন বিজেপি ধর্মের নামে ভোটে রাজনীতি করছে কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট কি করবেন নামে হওয়া উচিত না ধর্মের নামে হওয়া উচিত এই প্রশ্ন তিনি ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রের বিজেপির দিকে। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যকে যেভাবে বঞ্চনা করছে তার বিরুদ্ধে দিল্লিতে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস আজকের জনসভা থেকে সাফ জানালেন তিনি। তিনি খোলা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আগে ছিল সিপিআইএমের হার্মাদ এখন হয়েছে বিজেপির জল্লাদ। এই বিজেপি যদি মানুষের ভোট দিতে ক্ষমতায় আসে মানুষের টাকা নিয়ে গিয়ে তারা ফেলবে গুজরাটে। বাঁকুড়া জেলা বিজেপির যে দুজন সাংসদ আছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন মানুষের ভোটে জিতে তারা কেন মানুষের হকের টাকা কেন্দ্রে কাছ থেকে চাইছে না? তুমি কড়া সুরে বলেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং জগদল্লা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্ত্রী ও বাবার নামে যথাক্রমে আবাস যোজনায় বাড়ি এসেছে, কিভাবে এটা সম্ভব জবাব দেক এই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। কল্যাণী এইমস্-এ বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার মেয়ের চাকরি নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে নিজের বাড়ির লক্ষীকে সামলে রাখতে পারেনা সে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে কটাক্ষ করছে, লজ্জা লাগা দরকার। এও বলেন বিজেপি কর্মীরা যদি ভোট চাইতে আসে তাদেরকে ঘিরে ধরুন,বলুন বাংলায় ১০০ দিনেট টাকা কোথায় গেল কেন্দ্রকে প্রশ্ন করুন।


বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েতের প্রার্থী করবে জনগন নিজে,দরকার হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বুথে বুথে ঘুরবেন মানুষের স্বার্থে।

সবে মিলে পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে দলের সাধারণ সম্পাদকের বাঁকুড়া সফর বাড়তি অক্সিজেন বলেই মনে করছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।