জলপাইগুড়ি,নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-চৈত্রের শেষে পুড়ছে বাংলা। বাইরে বেরোতে সানগ্লাস ছাতা কোনও কিছুই কাজে দিচ্ছে না। তার ওপর নববর্ষে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা। বসন্ত শেষে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গ্রীষ্মের দহন দিনে কী হবে! সেই ভেবেই যেন আতঙ্ক হয়ে যাচ্ছে।
সেই বিষয় নিয়ে ডাক্তারদের পরামর্শে কি? এই গরমেই হতে পারে বিভিন্ন রোগ। শরীরের মধ্যে জলের অভাব দেখা দিতে পারে। আর তাই ডাবের জলের খেতে হয়ে এবং আখের রসের শরবত জাতীয় খাবার পান করার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল তাপমাত্রার পারদ কয়েকদিনে ক্রমশ বাড়ছে ।আর এই গরমে বিভিন্ন রোগের প্রকোপের কারণে রোগীদের ভিড় জলপাইগুড়ির সদর হাসপাতালে। সকাল থেকে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ওষুধ নিতে দেখা গেল রোগী ও আত্মীয় পরিজনদের।
এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড: অসীম হালদার জানান, জেলায় সমস্ত হাসপাতালগুলোতে কর্মীরা তৈরি রয়েছে। যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সহজে সমস্যার সমাধান করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তিনি পরামর্শ দেন ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে এবং কাজ ছাড়া রোদে বেরোতে নিষেধ করা হচ্ছে।স্বাস্থ্য দফতর থেকে সচেতনামূলক বার্তার প্রচার চালানো হচ্ছে গরম নিয়ে। গরম নিয়ে জলপাইগুড়ির সমস্ত হসপিটাল প্রস্তুত রয়েছে।যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে এবং রয়েছে ডাক্তারের সেই পরামর্শ মেনে চলবার জন্য মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে।