আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বাংলা বনধ সর্বাত্মকভাবে সফল হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

0
169

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট:-  আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বাংলা বনধ সর্বাত্মকভাবে সফল হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসা তিন আদিবাসী মহিলাকে বালুরঘাটে দণ্ডি কাটানো বা প্ররোচনার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে দ্রুত গ্রেফতার না করলে এবার ভারত বনধ ডাকার হুশিয়ারি আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান-এর।
সোমবার সকাল থেকেই বাংলা বনধ- এর প্রভাব পরেছিল বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। ভোরে বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশ কয়েকটি সরকারী বাস বের হলেও, তার চিত্রটা বদলে যায় বেলা গড়াতে। সরকারি বেসরকারি কোনো বাসকে এদিন আর রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি বনধকে উপেক্ষা করে। বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর, ট্যাঙ্ক মোড়, থানা মোড় এলাকায় রাস্তা আটকে অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। ছোট, বড় যান চলাচল তো বটেই, বাইক বা সাইকেল নিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় সশস্ত্র আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান-এর সদস্যরা। তির-ধনুক, রামদা, পশু কুড়ুল সহ ধারালো অস্ত্র উচিয়ে সাধারণ মানুষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাস্তা আটকায় বনধ সমর্থকরা। ঘটনায় একটি টোটো উলটে যায়। আহত হন এক মহিলা ও শিশু। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া পিকেটিং করে দোকান, বাজার সহ সমস্ত ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তারা।
ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল ডাকঘর, আদালত এবং জেলা প্রশাসনিক ভবন। তবে সেসব জায়গায় গিয়ে এদিন পরিষেবা নিতে দেখা যায়নি কোনো সাধারণ মানুষকে। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীকের বের করে দিয়ে বালুরঘাট পুরসভা বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। ওই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে অপসারণের দাবি তোলা হয়। এককথায়, ভয়ভীতি প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে এদিনের বনধ পালন করে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।
এই সংগঠনের নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, দণ্ডি কাটানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অন্যদুজনকে গ্রেফতার করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে। প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে দ্রুত গ্রেফতার না করলে ভারত বনধ-এর দিকে এগোব আমরা। এছাড়া চা বাগান থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদের প্রতিবাদ সহ পাঁচ দফা দাবি রয়েছে আমাদের।