নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —ঈদের দুই দিন আগে জমি বিবাদের জেরে ভাইপোর হাতে খুন হতে হল কাকা কে।প্রকাশ্য দিবালোকে গলায় ছুরির কোপ মেরে খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভাইপো।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশিদাগামী রাজ্য সড়কে রাণিপুরা গ্রামে।খুনির শাস্তির দাবিতে এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে খবর।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,
অভিযুক্ত যুবকের নাম মুসফিক রেজা (২৮) এবং মৃত ব্যক্তির নাম এক্তিয়ার হোসেন ওরফে সাবির আলী(৫১)।তারা সম্পর্কে কাকা ভাতিজা হয়।
মৃত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে,দীর্ঘ সাত বছর আগে অভিযুক্ত যুবক মুসফিক রেজার বাবা জাকির হোসেনের কাছ থেকে পাঁচ কাঠা জমি কিনে ছিলেন এক্তিয়ার হোসেন।সেই জমিতে তিনি পাকা বাড়ি তুলেছেন।পরবর্তী কালে এক্তিয়ার জাকিরের কাছ থেকে আরো কিছু জমি কিনে নেয়।মাস খানেক আগে এক্তিয়ার সেই জমিতে রান্না ঘর করতে গেলে জাকিরের ছেলে মুসফিক রেজা রান্না ঘর তুলতে বাধা দেয়।এবং সে দাবি করে জমিটি তার স্ত্রীর নামে রয়েছে।তার বাবা পুরনো দলিল দেখিয়ে জমিটি বিক্রি করে দিয়েছে।এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।সেই বিবাদের জেরে গত ১৮ এপ্রিল মুশফিক রেজার হাতে আক্রান্ত হয় এক্তিয়ার হোসেন।এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক্তিয়ার।এতেই রাগ হয় ভাইপোর।বৃহস্পতিবার বিকেলে কুশিদা থেকে নিজের ফার্নিচারের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এক্তিয়ার।সেই সময় প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার মাঝেই কাকাকে গলায় ছুরির কোপ মারে ভাইপো।ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন কাকা।স্থানীয়রা ছুটে এসে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।সমগ্র ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।আরো জানা গেছে,এক্তিয়ার হোসেনের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে।এক্তিয়ার ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।তার মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা।
মৃতের স্ত্রী নাজিমা খাতুন জানান,এদিন সকাল থেকেই মুসফিক হাতে চাকু নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল।স্বামীকে দোকানে যেতে বারন করেছিলেন তিনি।এদিন সন্ধ্যায় দোকান থেকে টোটোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তার স্বামী।বাড়ির নিকটে রাস্তায় নামতেই মুসফিক চাকু দিয়ে তার স্বামীকে ঘুন করে বলে অভিযোগ।খুনি যাতে আজীবন শাস্তি পায় এটাই প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন।