বাড়ি বাড়ি কল পৌঁছালেও জল নেই! পানীয় জলের দাবিতে খালি হাড়ি কলসি বালতি নিয়ে কলের সামনে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।

0
172

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের বাখানগাছি এলাকায় আনুমানিক প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ন্যূনতম পানীয় জলটুকু পর্যন্ত পাচ্ছেন না, গৃহস্থলীর কাজকর্ম স্থান সে তো অন্য বিষয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার পঞ্চায়েত প্রধান এমনকি পি এইচ ই দপ্তরের পর্যন্ত দরবার করেছেন একাধিকবার। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। গতকালকেও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অলিভিয়া সন্ন্যাসীর কাছে, এলাকার শতাধিক পরিবারের পক্ষ থেকে সই সংগ্রহ করে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। সেই অর্থে কোন সদ উত্তর না পেয়ে
আজ বাথানগাছি ষষ্ঠী তলা বাজারে এক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এলাকার ব্যবসায়ীক মহল থেকে সর্বসাধারণ।
এলাকার বাসিন্দা মানিক দত্ত বলেন, পি এইচ ই দপ্তরে একাধিকবার ফোন করার পরে, একজন অপরজনের নাম্বার দিয়ে দায় সেড়েছেন, নিজে নিজেও পেশা রুজি-রুটি বন্ধ করে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও মেলেনি সুরাহা।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকের , অনুমান স্থানীয় জল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নেতাদের যোগ সাদৃশ্য আছে কিনা সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে সংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর জন্য যে ব্যয় বরাদ্দ পাঠাচ্ছে তা নিয়ে এরা নিজেদের উদারপুর্তি করছে। নিচ থেকে উপর পর্যন্ত কোথাও চুরি কোথাও বা চুরি ঢাকতে ব্যস্ত, মানুষের কথা ভাবার সময় তাদের নেই।
যদিও অলিভিয়া সন্ন্যাসী এলাকার সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, সরাসরি পঞ্চায়েত পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপের বিষয় এটি নয়, তবুও পি এইচ ই কে জানানো হয়েছে, গতকালকের এই মাঠ পিটিশন তাদের কাছে পৌঁছানো হবে। প্রচন্ড গ্রীষ্মের দাবদহে মানুষের জল পাওয়াটা অধিকারের মধ্যে পড়ে। তবে সংসদের কটুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত পরিকল্পনা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছে কিন্তু এলাকায় গিয়ে প্রশ্ন করে দেখুন তারা কেন্দ্রীয় কোন প্রকল্প পেয়েছে?
কেন্দ্র রাজ্যের রাজনীতির বাঘ বিতান্ডার যাত্রাকালে হাঁসফাঁস করছে।
খালি হাড়ি কলসি বালতি নিয়ে দেখা যায় মহিলাদের বিক্ষোভ। ক্ষণিকের জন্য বিক্ষোভ রাস্তায় চলে আসলে অবরুদ্ধ হয় বাদকুল্লা বেলেডাঙ্গা রাজ্য সড়ক।তারা বলেন, ভাবতে অবাক লাগে, চৈত্র বৈশাখ মাসে বিভিন্ন পাড়ার মোড়েও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা জলছত্র করেন পথচারীদের উদ্দেশ্যে। আর যারা আমাদের ভোট পেয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসক হয়েছে তাদের, কোনো হেলদোল নেই।
এলাকার বিক্ষোভরত এক মহিলা, শান্তি সূত্রধর বলেন, রাস্তায় জল আনতে যাব সে উপায়ও নেই কারণ সেখানেও কল থাকলেও জল পড়ে না। এই এলাকায়, অত্যাধিক আয়রনের কারণে বাড়ির চাপা কলের জল পানীয় হিসেবে তো নয়ই অন্যান্য ব্যবহারেও উপযোগী নয়।
যেখানে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানোর কথা বলছেন সেখানে গ্রামের এই অবস্থা।