মনিরুল হক,কোচবিহার: রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। ঘটনাটি ঘটে মেখলিগঞ্জের ভোটবাড়ির গোয়েন্দাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুপক্ষের কমপক্ষে ৫ জন। আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকা থমথমে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,‘পথশ্রী’ প্রকল্পে দীর্ঘ ১ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মানকাজ শুরু হয়েছে মেখলিগঞ্জের ভোটবাড়ির গোয়েন্দাপাড়ায়। এদিন রাস্তার একটি বাঁকে জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে কাজ আটকে দেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী মজিবর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী।
পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী মুজিবর রহমানের অভিযোগ, তাকে না জানিয়েই জমি দখল করে রাস্তার কাজ চলছে। সে রাস্তার নির্মানকাজে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দলবল নিয়ে আসেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আলতাফ হোসেন। শুরু হয় দুপক্ষের বচসা। বচসা চলাকালীন আলতাবের লোকজন বাঁশ নিয়ে মজিবর রহমন ও লোকেদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মজিবর ও তার দলদল। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে গুরুতর জখম হন কমপক্ষে ৫ জন। আহতরা হলেন মজিবর রহমান, আমির হোসেন, মজিবুল হক, আলতাপ হোসেন, মোস্তাফা হক। বাঁশের আঘাতে কারও পা ভেঙ্গেছে, কারও হাত আবার কারও দাঁত। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় মেখলিগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারাই পরিস্থিতি সামাল দেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায় দুপক্ষের ৫-৬ জনকে। এলাকা থমথমে রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ পিকেট।
এবিষয়ে নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থ প্রতীম রায় জানান,ওই এলাকায় পথশ্রী’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেখানে রাস্তার একটি বাক রয়েছে। সেই বাকের পাশে একজনের বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়িতে বাঁশের বেড়া দেওয়া রয়েছে। সেটাকে সরিয়ে দিয়ে রাস্তা করতে চাইলে বাড়ির মালিক বাধা দেয়। সেখানে গ্রামের মানুষের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। সেখানে তৃণমূলের কোন ব্যাপার নেই। ওই ঝামেলা থামাতে এসে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের কর্মীরা। এখানে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই।