দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ – শহরকে সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের ফলক লাগানো হয়েছে। কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে মানুষজন চলাচল করবে সেই রাস্তার দিকে নজর নেই কারোর।
বীরভূম জেলার দুবরাজপুর শহরের দুই প্রাণ কেন্দ্রে পৌরসভার পক্ষ থেকে I Love Dubrajpur লেখা ফলক বসানো হয়েছে। একটি দুবরাজপুর পাহাড়েশ্বরে এবং আর একটি পাওয়ার হাউস যাওয়ার মোড়ে। যদিও বা পাওয়ার হাউস মোড় থেকে পাহাড়েশ্বর পর্যন্ত এই রাস্তা একেবারে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই দুবরাজপুর শহরের ভেতরে দিয়ে চলে গিয়েছে রানিগঞ্জ মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু জাতীয় সড়ক একেবারে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করলে ধুলোয় ঢেকে যায় এই শহর। আবার একটু বৃষ্টি হলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে এই রাস্তা। কখনও বা যাত্রী নিয়ে টোটো উল্টে যাচ্ছে, আবার কখনও ভারী যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এই বেহাল রাস্তার জন্য জাতীয় সড়ক ও পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো হেলদোল নেই। যদিও বা এই রাস্তা ধরে প্রতিদিন হাজার হাজার ওভারলোড বালি ও পাথর বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করছে। কিন্তু এতে পুলিশ প্রশাসনেরও কোনো হেলদোল নেই। শুধুমাত্র ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবুও এই রাস্তার জন্য প্রশ্ন করা হলে কেউ বলতে সৎ সাহস করতে পারছেন না। সেখ ইনতাজ নামে এক টোটো চালক জানান, দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে পাহাড়েশ্বর পর্যন্ত রাস্তা এত খারাপ যে আমাদের টোটো পাল্টি খেয়ে যাচ্ছে। তবুও এই খারাপ রাস্তায় টোটোতে যাত্রীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনকী রোগীদের দুবরাজপুর মানসায়ের হাসপাতাল নিয়ে যেতেও কস্ট করতে হয়। যদিও বা রাস্তা সারাইয়ের জন্য নেতাদের বলতে যাচ্ছি তাঁরা থানায় ভরে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। পাশাপাশি এই রাস্তা খারাপের জন্য শুধু আমাদের কস্ট নয়, পুরো দুবরাজপুর শহরবাসীর কস্ট। পৌর প্রশাসনের কোনো দায়িত্ব নেই। রাস্তা খারাপের জন্য এত ধুলো যে মানুষ যদি ৪০ বছর বাঁচত সেখানে ৩০ বছর বাঁচবে। বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রভাত চ্যাটার্জি জানান, এই রাস্তা ন্যাশনাল হাইওয়ের অধীনে রয়েছে। বর্তমানে যিনি হাইওয়ে ডিভিশনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি বুঝেছেন জানি না। তিনি বলছেন পৌরসভাকে ড্রেন করে দিতে হবে তবেই রাস্তার কাজ করব। অন্যদিকে দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে জানান, আমরা এই রাস্তার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি জানিয়েছি। এমনকী তৃণমূলে পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভও করেছি। তবুও কোনো কাজ করেনি। গত তিনবছর ধরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোনো কাজ করেনি। বর্তমানে এই রাস্তার কাজের জন্য একটি টেণ্ডার ডেকেছে এবং তারা একটি আবেদন করেছে যে কিছুটা অংশে ড্রেন করে দিতে হবে। আমরা ড্রেনের কাজের জন্য মাপজোক শুরু করে দিয়েছি। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে ড্রেনের কাজ শেষ করে রাস্তার কাজ শুরু হবে।