নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্র হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে তিনটি পরিবার।বৃহস্পতিবার ভোররাতের আগুনের ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল-২ নং ব্লকের ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের হারোহাজরা গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক রশিদ আলীর বাড়িতে।তার দুই ছেলে আশরাফুল ও আতাউর রহমানের ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছাগল ও গরু সহ আটটি গবাদি পশু,খাদ্য সামগ্রী,ধান,গম সব কিছুই পুড়ে গিয়েছে।জামাকাপড়ও জ্বলে গিয়েছে।ঘরে মজুত থাকা নগদ টাকা ও সোনার গয়না সবকিছুই বিনষ্ট হয়েছে।তিনটি পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশ লক্ষ টাকা বলে দাবি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অসহায় পরিবার গুলির জন্য সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ভোররাতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।আগুন দেখতে পেয়েই পরিবারের লোকজনদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন।আগুন নেভানোর কাজে তার ঝাঁপিয়ে পড়েন।পাশাপাশি চাঁচলের অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়।দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।গ্রামবাসী ও দমকল বাহিনীর চেষ্টায় আগুন অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসলেও পরিবার গুলির সবকিছুই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সবকিছুই পুড়ে যায়।আগুন লাগলো কিভাবে?পরিবার গুলির সূত্র থেকে জানা যায়,তাদের গোয়ালঘরের মশা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া দেওয়া হয়।গোয়ালঘর থাকা আগুন থেকেই ওই আগুন ছড়ায়।নিমেষেই তিনটি কাচার বাড়ি পুড়ে যায়।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ আশরাফুল স্ত্রী মেহেরুন বিবি বলেন,মাস দুয়েক পরে মেয়ের বিয়ে।বিয়ের জন্য সোনার গয়না ও টাকা পয়সা জোগাড় করছিলাম।ইতিমধ্যে দেড় ভুরি সোনার গয়না বানিয়ে ঘরে রেখিছিলাম।ঋণ নিয়ে নগদ এক লক্ষ টাকা বাক্সে রেখেছিলাম।আগুনে সবই জ্বলে শেষ হয়ে গেল।এই ঘটনায় তিনি ভয়ংকর ভাবে ভেঙে পড়েছেন।আগুনে আমার সব কিছুল জ্বলে শেষ হয়ে গেল।কি করব এখন কোনো কুল কিনারা খুজে পাচ্ছিনা।
যদিও ঘটনার খবর পেয়ে দুর্গতদের বাড়ি পৌঁছেছেন স্থানীয় মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি।তিনি বলেন,পরিবারগুলির আবাস যোজনা তালিকা নাম রয়েছে।দ্রুত যেন ঘর পায় ব্যবস্থা করা হবে।সরকারি সাহায্যের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।পাশাপাশি বিধায়ক আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন পরিবার গুলিকে।