বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের শুরুতেই অশান্তির আবহ কোচবিহারে, ভাঙচুর ২টি সরকারি বাস।

0
194

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের শুরুতেই অশান্তির আবহ কোচবিহার শহরে। সরকারি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় জেলা নেতৃত্ব। তখনই পুলিশ এসে তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্য়ানে তোলে। এদিকে, বন্ধের বিরোধিতায় একই জায়গায় পাল্টা মিছিল করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আই এন টি টি ইউ সি । তৈরি হয় উত্তেজনা পুলিশ এসে দু-পক্ষকে সরিয়ে দেয়।

জানা গেছে, কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁয় বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতেই। এ নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বন্‌ধের সমর্থনে আজ কোচবিহার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল বার করে। সেই মিছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাসে এসে পৌঁছনোর পর বন্‌ধ সমর্থনকারীরা সরকারি বাস আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই সময় কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার যাচ্ছিল বারোবিশা রুটের একটি সরকারি বাস। অভিযোগ, সেই বাসে ঢিল ছুড়ে কাচ ভেঙে ফেলেন বিজেপি কর্মীরা। সে সময় বাসের ভেতরে ছিলেন যাত্রীরা। এর পর আতঙ্কিত যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যান। আহত হয় বাসচালক। বাস ভাঙচুরের ঘটনায়,অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিলেন, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা-র চেয়ারম্য়ান পার্থপ্রতিম রায়। কোচবিহারের কাছারিমোড়ে আরও একটি সরকারি বাস ভাঙচুর করে বিজেপি কর্মীরা।

পাশাপাশি কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে বিজেপি-তৃণমূল দুপক্ষের মধ্য়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিন বনধের সমর্থনে যেমন পথে নামে বিজেপি,তেমনই বনধের বিরোধিতায় পথে নামে তৃণমূলও। ঘুঘুমারিতে দুপক্ষ মুখোমুখি চলে এলে, উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতি বাধে। জেলার তুফানগঞ্জ বলরামপুর চৌপতি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের মিছিল ঘিরে তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। কোচবিহারের চাকিরবাজারেও উত্তেজনা। সেখানে বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে বাঁশ নিয়ে তেড়ে যায় তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজেপি।

এদিন এবিষয়ে তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়িকা মালতী রাভা রায়, রাজ্যের পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। তারা শাসকদলের মদতে কাজ করছে এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আজ গাড়ি চালানোর জন্য জোর করছে কর্মীদের। কারণ পুলিশ মমতা ব্যানার্জি নির্দেশে গতকাল মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে গুলি করে খুন করেছে তার প্রতিবাদে আজকে আমরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ১২ ঘন্টা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। যারা ওই ঘটনায় দোষী তাদেরকে শাস্তির দাবি জানিয়ে আমরা বন্ধ করছি এবং রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ চাচ্ছি।