নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সরকার। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, ডিএ-র সমস্যা তাতে মেটেনি। বৈঠক নিষ্ফল। এরপরই চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় নেমেছেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা, জেলায় জেলায় সংগঠন গড়ে তোলা এবং রাজ্যভিত্তিক কর্মসূচি জেলায় রূপায়িত করতে বিভিন্ন রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তারা।
কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসের ৬ তারিখ দুপুর আড়াইটে নাগাদ নবান্ন অভিযান শুরু হবে সরকারি কর্মীদের। এর আগে জেলায় জেলায় বেশ কিছু কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্ব। জানানো হয়েছে, জেলা এবং ব্লক স্তরে এই আন্দোলন করবে প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী।
ডিএ-র পাশাপাশি সরকারি শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতেও সরব হয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এই আবহে গত ২৭ তারিখ ব্লক স্তরের মিছিলের পর ২৮ ও ২৯ এপ্রিলও রাস্তায় নেমেছেন তারা। ২৮-২৯ এবং ৩০ তারিখ সব জেলার সদর দফতরের সামনে দু’দিনের ধরনা কর্মসূচি পালন করছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
সেই মতন আজ নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের জেলখানার পাশে একতা ক্লাবের মাঠ থেকে শুরু হয়ে এক পদযাত্রা কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। প্রচন্ড প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে তাদের আন্দোলনের তীব্রতা ছিলো চোখে পড়ার মতন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ২ শতাধিক সরকারি কর্মচারী ছাতা মাথায় এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।উপস্থিত ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য নেতৃত্ব কনভেনার ভাস্কর ঘোষ । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কিংকর অধিকারী, সৌরেন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।