কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে দিদি সুরক্ষার সময়সূচি। সেই সাথে দিদির দূত বাড়ি বাড়ি পৌঁছাচ্ছে সাধারণ মানুষের। কোচবিহারের বারোটি ব্লক ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। সব থেকে ব্যাপক সাড়া পড়েছে কোচবিহার দুই নাম্বার ব্লকে। দুই নম্বর ব্লক অর্থাৎ কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রটি রয়েছে বিজেপি বিধায়ক তথা জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়ের দখলে।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বদের দাবি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের মাটিতে আর কোন ঠাঁই নেই। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের কথায় উঠে এসেছে বিধায়কের অনুপস্থিতি এবং অসহযোগিতার কথা। সাধারণ মানুষ পরিষ্কার জানেন, বিধায়ককে ডাকলে পাওয়া যায় না, বিগত দুই বছরে কোনরকম উন্নয়ন হয়নি এলাকায়। যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি পুনের আশায় তারা ভোট দিয়েছিলেন সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি সিকিভাগ ও সম্পূর্ণ হয়নি বিধায়ক মাধ্যমে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার সাড়া ফেলেছে যথেষ্ট। সাড়া ফেলেছে দিদি সুরক্ষা কাগজে বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ব্যবহার ও। কোচবিহার দুই নাম্বার ব্লক উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ৯০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বলে দাবি করেন দুই নাম্বার ব্লক সভাপতি সজল সরকার। বিশেষ করে ঢাংঢিং গুরি, বড় রং রস, পুন্ডিবাড়ী, মধুপুর, মরিচবাড়ি এলাকায় ১০০% বাড়িতেই পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য রাও বাড়ি বাড়ি পৌঁছছেন।
কোচবিহার জেলার তৃণমূল সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক বলেন, দিদির দূত কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা আরও বেশি জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। কোচবিহার জেলায় এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে সরকারি পরিষেবা পৌঁছায়নি। ন্যূনতম প্রতিটি পরিবারের কোন না কোন সদস্য সরকারি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত,আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জনসংযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতকে আরো বেশি শক্ত করবে।