পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- কেউ এসেছেন পিংলা থেকে , কেউ এসেছেন সবং থেকে। আবার নারায়ণগড় , দাঁতন , ঘাটাল , দাসপুর , কেশপুর , গড়বেতা থেকে এসেছেন অনেকে।
এরকম দুশ জন মানুষের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শুনলেন জেলা শাসক , অতিরিক্ত জেলা শাসকরা ।জনতার দরবারে সরাসরি জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাদের কাছে নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরতে পেরে খুশি সকলেই।
ছিলেন জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরী । অতিরিক্ত জেলা শাসক ( সাধারণ ) ছাড়াও পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন , ভূমি ও ভূমি সংস্কার , সমাজকল্যাণ , জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা শাসকরা । সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত জনতার দরবার চলে।
কেশপুরের নন্দিনী মাল , দাসপুরের সুবর্ণ বিশ্বাস দুজনেই ৬৫ পেরিয়েছেন । বার্ধক্য ভাতা চালু হয়নি। আধার – প্যান কার্ডের সংযুক্তি করন বা ব্যাঙ্কের প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটির জন্য বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না ।
এদিন দুপুরে জেলা শাসকের সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানান , খুব শীঘ্রই তাঁরা ভাতা পাবেন । কাগজপত্র সব জমা দিয়েছেন। তাঁরা খুশি।
ধন্যবাদ জানান রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনকে।
মেদিনীপুরের কৌশিক চক্রবর্তী একটি সার্ট -আপ কোম্পানি খুলতে চলেছেন।ব্যাঙ্কের ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে।
ডেবরার রাতুলিয়ার তনুশ্রী মন্ডল জানান , তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এলাআইসির এজেন্ট ছিলেন। কোনো কাগজপত্র তাঁকে দেওয়া হয়নি। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে রয়েছেন।
তাঁর কথাও মন দিয়ে শোনেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
পিংলার জয়দেব মন্ডল , সবং এর আব্দুল রউফ তাঁদের জমি সংক্রান্ত সমস্যা জানাতে আসেন।
একসময়ে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাজ্য সরকারের ঘোষিত পুনর্বাসন প্যাকেজ পাননি শালবনির এমন বেশ কয়েকজন এদিন তাঁদের সমস্যার কথা জানান।
অভাব অভিযোগ লিখিতভাবে জানানোর পর বেরিয়ে এসে সকলেই জানান , তাঁরা খুশি। কিছু সুরাহা মিলবে ।
জেলা শাসক জনান , এদিন ২০০ জন এসেছেন। প্রতি মাসে দুদিন এরকম জনতার দরবার বসবে। পরিষেবা দেওয়া ও পাওয়া নিয়ে তথ্যগত কিছু ঘাটতি রয়েছে সেগুলি মিটে যাবে। কারো আবাস তালিকায় নাম নেই । কেউ বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না । কোথাও পাকা সেতু দরকার । এদিন যাঁরা এসেছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের সমস্যার নিষ্পত্তি হয়েছে । জমি ও আইন আদালত বিষয় নিয়ে যেসব অভিযোগ এসেছে কোথায় , কি পদ্বতিতে গেলে সুরাহা মিলবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান , মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল এ এই জেলা থেকে যত অভিযোগ গেছে এর ৯৯ শতাংশ সমাধান হয়েছে।
এখন জেলা স্তরে যে কেউ তাঁদের সমস্যা জেলা প্রশাসনকে জানাতে পারেন। ৭ দিনের মধ্যে সুরাহা পাবেন।