কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: কোচবিহার শহরের ১১ নং ওয়ার্ডে গান্ধী কলোনি এলাকার হরিজন পল্লীর চিহ্নিত জায়গায় যাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র করা কথা কোচবিহার পৌরসভার। সেই জমি পরিদর্শনে যান চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু সেই জমিতে হরিজন বাসফোর সমাজের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন। এবং কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান হলে সেখানে তারা করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ওই জমি নিলে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়বে। তাই তারা দাবি রাখেন, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র অন্য জায়গায় যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। সেই বিষয় নিয়ে জেলা শাসক ও পৌরসভায় চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের একটি স্মারকলিপি দেন তারা। কিন্তু ১৪ দিন কেটে গেলেও তাদের সেই সমস্যার সমাধান হয় নি। সেই কারণে আজ ফের কোচবিহার শহরে মিছিল করে জেলা শাসকের করনে গিয়ে স্মারক লিপি দেন। এদিন জেলা শাসকের কাছে ৫ জনের প্রতিনিধি গিয়ে স্মারকলিপি দেন তারা। পরে তারা কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ফের স্মারকলিপি দেন আজ। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন গৌতম বাসফোর, রঘুবীর হরিজন, অনির্বাণ হরিজন সহ আরও অনেক।
এদিন হরিজন বাসফোর সমাজের পক্ষে এক আন্দোলনকারী জানান, কুচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গান্ধীনগর কলোনি এলাকায় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেন। সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান বেশ কয়েকদিন আগে। কিন্তু গান্ধীনগর কলোনি এলাকায় রাজ আমল থেকে বসবাস করে আসছে হরিজন বাসফোর সম্প্রদায়ের লোকজন। বিগত দিনের পৌর পিতা বীরেন কুন্ডু মহাশয় ওই এলাকায় একটি ফ্ল্যাট করে দেন তাদের বসবাস করার জন্য। সেখানে একটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেই ফাঁকা জায়গায় ওই সম্প্রদায়ের ছোট ছোট ছেলমেয়েরা সেখানে খেলা ধুলা করেন এবং ওই সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়ের বিয়ে শাদী লাগলে সেখানে করা হয়। কিন্তু পৌরসভায় চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সেখানে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র করতে চান। আমরা সেই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে জেলা শাসক পবন কাদিয়ানের কাছে স্মারকলিপি দেই। এবং সেই স্মারকলিপির কপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেওয়া হয়। কিন্তু ১৪ দিন কেটে গেলেও ওই সমস্যার কোন সমাধান হয় নি। সেই কারণে হরিজন বাসফোর সম্পদায়ের লোকজন ফের জমায়েত হয়ে জেলাশাসক পবন কাদিয়ানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরে সেই স্মারকলিপির কপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।