পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এবার দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের ঠাকুরচকে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন একবার পঞ্চায়েত জিতে পাঁচ বছর তারা লুট করেছে আবার তারা লুট করার চেষ্টা করছে। তারা তাল খুঁজছে এখন একটু কাদায় পড়ে গেছে। মোটা মোটা নেতারা জেলে গেছে ।রোজ এমএলএ এমপি কে ডাক হচ্ছে। দিদিমণির মাথার ঠিক নেই ইলেকশনটা করা হবে কিনা বুঝতে পারছেন না। করতে তো হবে আজ হোক কাল। কেন্দ্রের পঞ্চায়েতের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন উপোস করে মরতে হবে যারা ঝাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ ক্ষেপে আছে সুযোগ পেলে ভালো করে ধুয়ে দিবে নির্মা দিয়ে। পঞ্চায়েতে যেতে যাবে না তাই তাল খুঁজছে মিউনিসিপ্যালিটি ইলেকশন যেমন মারপিট করে জিতে নিল তাই পঞ্চায়েত দেখতে চায়। নমিনেশন করতে দেবে না আবার মারপিট করার তাল খুঁজছে। আর যদি তাই করে আপনারা কি চুপচাপ দেখবেন? এবারে আর ছাড়া যাবে না এবারেরটা এবং গতবারের টা সোধ বোধ করতে হবে তার প্রস্তুতি রাখুন।
নাম না করে অনুব্রত মণ্ডল এবং তার মেয়েকে বলেন বাপ বেটি জেলে গেছে। আপনারা ভাববেন না এখানকার প্রধান জেলা পরিষদের মেম্বার এমএলএ পঞ্চায়েত সমিতি পঞ্চায়েত ও বাদ যাবেনা, ছাকা জাল দিয়ে তোলা হবে। তুলে নিয়ে গিয়ে জেলে রাখা হবে সারা জীবন জেলের ভাত খেতে হবে।
জাস্টিস গাঙ্গুলীর হাত থেকে মামলার সরে যাওয়া নিয়ে শিক্ষার দুর্নীতির তিনি বলেন সেদিন তৃণমূল ভাবছে ইলেকশন জিতে গেছে পার্টি অফিসের ডিজে বাজিয়ে। মুরগির মাংস ও বোতল চলেছে। কারণ ভাইপো বেঁচে গেল দিদি বেঁচে গেল ভাবছেন। হাইকোর্ট গেলে সুপ্রিম কোর্ট আছে। জাস্টিস গানগুলি গেছেন তো জাস্টিস সিংহ এসেছে। আইন কথা বলবে। লুঠের মাল কেউ হজম করতে পারবেন না। সময় একটু দেরি হতে পারে কেউ বাঁচবেন না।
গতবারের পঞ্চায়েত ভোটে যে পুলিশ নমিনেশন দিতে না দিয়ে জিতিয়েছিল তাকে এখন চাঁদা মারা হচ্ছে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে কোটা হচ্ছে ধানকোটা। কারণ আমাদেরকে ভোট এলে বারবার গুন্ডা এবং পুলিশ নিলে টিএমসিকে জিতিয়ে দিত। গত পাঁচ বছর আমরা যখন নমিনেশন দিতে গিয়েছিলাম তখন থেকে মারামারি শুরু করেছে। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছিল মহিলাদেরও। এটা কোন সভ্য দেশে হয় না। কারা আটকে ছিল ? বিডিও পুলিশের ওসি আইসি এরা। দাঁড়িয়ে মজা দেতো দাঁড়িয়ে।