নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে নদিয়া জেলা পরিষদ ভবন অভিযানকে ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদ ভবন সংলগ্ন এলাকায় কার্যত ধুম ধুমাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের নদীয়া জেলা পরিষদ ভবন অভিযান কর্মসূচি সামাল দিতে জেলা পরিষদ ভবনের সম্মুখে বেরিকেট তৈরি করা ছাড়াও বহু সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয় কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। অভিযানের শুরুতে পুলিশের তৈরি প্রথম বেরিকেট ভেঙে দ্বিতীয় বেরিকেটের দিকে এগিয়ে যায় বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা। এরপর দ্বিতীয় বেরিকেটিকে কার্যত গুড়িয়ে দিয়ে জেলা পরিষদ ভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয় আন্দোলনকারী এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মী সমর্থকদের। পুলিশিক বাঁধাকে উপেক্ষা করে জেলা পরিষদ ভবনের দিকে এগোতে চাইলে বামপন্থী ছাত্র যুব কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় কর্মরত পুলিশ কর্মীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৩ জন ছাত্র,যুব কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি ফলে অসুস্থ হয়ে যান ১০ জন বামপন্থী ছাত্র যুব কর্মী সমর্থক। যার ফলে পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হতে শুরু করে। এরপর জেলা পরিষদ ভবন চত্বর ছেড়ে কোতোয়ালি থানার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাময়িকভাবে গ্রেফতার করা হলেও কিছু সময় পর মুক্তি দেওয়া হয় ১৩ জনকে। মুক্তির পর তাদেরকে মালা দিয়ে সংবর্ধিত করেন এস এস আই কর্মী-সমর্থকরা।জেলা পরিষদ ভবনের পর কৃষ্ণনগর পৌরসভার সামনে গিয়ে উপস্থিত হন বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াই এফ আই এর নেতা কর্মী সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বচ্ছ নিয়োগ-নীতি প্রণয়ন করার দাবি সহ নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার দাবি ছাড়াও অবিলম্বে রাজ্যের কলেজগুলিতে স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি ও শিক্ষা দুর্নীতির প্রতিবাদ সহ একাধিক দাবিতে ৪ঠা মে বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে নদিয়া জেলা পরিষদ ভবন অভিযানের ডাক দেয় নদীয়া জেলা বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। এদিনের জেলা পরিষদ ভবন অভিযানে কৃষ্ণনগরে উপস্থিত হয়ে ছিলেন ডিওয়াই এফ আই এর রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি সহ ডি ওয়াই এফ আই এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূর বিশ্বাস ছাড়াও বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।