নদীয়, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জন্মদিন পালনের কয়েক ঘন্টা আগেই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলো দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার বড়বাজার এলাকায়। মৃত ওই কলেজ ছাত্রীর নাম কোয়েল হালদার, বয়স ২০ বছর। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে বাড়ছে রহস্য। সূত্রের খবর বড় বাজার এলাকার ওই যুবতী কোয়েল হালদার বর্তমানে কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্রী ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর গতকাল তার ২০ তম জন্মদিন ছিল। পরিবারের তরফ থেকে জন্মদিন উপলক্ষে কেনাকাটা শুরু করেছিল। ওই ছাত্রীর জামা কাপড় থেকে শুরু করে জন্মদিন পালনের বেলুনও কেনা হয়ে গেছিল। জানা যায় যে ঘরে তার জন্মদিন পালন হবে সেই ঘরটিকে সাজিয়ে তুলেছিল পরিবার। মেয়েকে নিয়ে বাজার সেড়ে গতকাল আনুমানিক রাত দশটা নাগাদ বাড়ি ফেরে তার বাবা। মেয়ে দোতলার ঘরে একাই ছিল বলে জানা যায়। কিছুক্ষণ পর ডাকাডাকি করতে কোন সাড়াশব্দ না মেলায় জানালা দিয়ে দেখা যায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মেয়েটি। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আত্মঘাতী ওই ছাত্রীর মা মামনি হালদার জানান, ইদানিং আমার মেয়ে একটু অন্যরকম হয়ে গেছিল। আগের তুলনায় তার রাগ অত্যন্ত বেড়ে গেছিল। আজ বাজার করার সময়ও জামা কেনা নিয়ে মজা করে সামান্য একটু কথা কাটাকাটি হয়। মেয়ে বাড়িতে এসে বলেছিল আমার জন্য কাউকে কিছু কিনতে হবে না। এরপরই এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল। মেয়ের কেন হঠাৎ এমন পরিবর্তন ঘটল সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি তার মা। আজ মৃতদেহটি রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনার পিছনে নিছক আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে তারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
