নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বৃষ্টি নেই,জলাশয় শূণ্য,তাপে পানের পিলি শুকিয়ে যাচ্ছে। চিন্তাই পানচাষীর মাথায় হাত।
ওপরের জল নেই,জলাশয় গুলি জল শূণ্য,ফলে জল সেচ দিতে পারছ না। পানের পিলি শুকিয়ে যাচ্ছে।মাথায় হাত শিমুরালর পান চাষীরা।শিমুরালির পান বিখ্যাত ছিল।দেশ বিদেশে নাম ছিল এক সময়।রাউতাড়ি,শিমুরালি এবং চাঁদুড়িয়া এই তিনটি জিপি মিলিয়ে পান চাষ হতো।এই জন্য এখানে পানের পাইকারি বাজার ছিল।সেই বাজার বসতো কাকভোরে।এই অঞ্চলে দুই রকম পান চাষ হতো মিঠা ও ঝাল পান।অর্থাৎ ভাবনা ও রাশ পান। এখানকার বেশীর ভাগ মানুষই বারুজীবি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ছিল ফলে বংশপরমপরা এদের পান চাষের মধ্যে লিপ্ত ছিল।এখানকার মানুষ পানের বরজের ওপর নির্ভরশীল ছিল।তাতে যা আয় হতো সংসার,সন্তানদের পড়াশুনা চালিয়েও পয়সা বাঁচতো।
এই অঞ্চলে তিন শ্রেণীর মানুষ এই বরজের কাজে লিপ্ত ছিল১)নিজের জমিতে বরজ করতো২)অন্যের জমি বছরে লিজ নিয়ে পান বরজ করতো। বাকিরা পানের বরজে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো।বর্তমানে এই তিন টে অঞ্চলে বরজের চাষ আজ অতিত।লোক সংখ্যা বাড়ার ফলে জমি বিক্রি করে দিচ্ছে।সেচ দেয়ার জন্য যে জলাশয় ছিল তা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বরজের কাজ জানা দিন মজুরের অভাব। ভাবনা পান বেশ কয়েক বছর ধরে আর চাষ হয় না। জানালেন পানচাষী অশোক রায় এবং মনীন্দ্র দাস।তারা বলেন,আমফান ঝড়ে বরজ পরে গিয়েছিল আজ পযর্ন্ত সরকারি সাহায্য পায়নি। জলাশয় শুকিয়ে গেছে। আকাশে বৃষ্টি নেই। প্রচন্ড তাপে পান পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। কিরে বাঁচাবো বুঝতে পারছি না। মনীন্দ্র দাস বলেন, এক বিঘে জমিতে বরজ করেছি প্রায় জমি বাবদ দশ হাজার টাকা দিয়েছি।প্রায় ষাট হাজার টাকা খরজ হয়েছে এই বরজ করতে। এই খরায় আর বরজ রাখতে পারবো না।শিমুরালি তে ঐতিহ্য এই পান আগামী দিনে আদৌ থাকবে কিনা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।