দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এই বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে লোকসংস্কৃতির আকর। বহু প্রাচীন কাল থেকেই হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির মিলিয়ে বাংলার নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতি করে উঠেছে । যেখানে তন্ত্রবিদ্যার এবং মাতৃ শক্তির আরাধনার প্রভাবই বেশি। মায়ের পদতলে বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে সন্তানের মত মায়ের আরাধনা করে চলেছে। মা কালীর তেমনি একটি রূপ হল দেবী চামুন্ডা । দুই শতাধিক বছর আগে বালুরঘাটের আত্রাই নদীতে মা চামুণ্ডার একটি মুখা ভেসে আসে। দেবী বালুরঘাট শিবাজী কলোনী এলাকার এক ব্যক্তিকে স্বপ্ন আদেশ দিয়ে জানান যে তিনি আত্রাই নদী তে ভেসে এসেছেন। ওই ব্যক্তি মাকে আত্রাই নদী থেকে দৌড়ে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে এই দেবীর পূজা শুরু হয় এলাকার নাম দেবি চামুণ্ডার নামে চামুন্ডা তলা বলে পরিচিত হয়। প্রতিবছর বৈশাখের শেষ মঙ্গলবার এই দেবীর পূজা হয়ে থাকে। বালুরঘাট খাদিমপুর এলাকা থেকে দেবী মূর্তি তৈরি করে ভক্তরা মন্দির পর্যন্ত মাকে দৌড়িয়ে নিয়ে আসে এবং মাকে মন্দিরে স্থাপন করেন বলে এই মাকে ভক্তরা দৌড়ানো কালি বলেও ডাকে। এই কালীপুজোর আগের সাত দিন বিভিন্ন লোকাচার মানতে হয় ভক্তদের। কঠিন ব্রত পালনের মধ্য দিয়ে ভক্তরা মায়ের আরাধনা করেন। এই পুজোর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো এই বছরের বৈশাখ মাসের শেষ মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল। মায়ের ভক্তরা সাত দিন ধরে বিভিন্ন লোক নেত্রের মধ্যে দিয়ে মাকে প্রসন্ন করবার চেষ্টা করে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই মায়ের পুজো ফিরে ভক্তদের উৎসাহ এবং উদ্দীপনা চোখে করার মত লক্ষ্য করা গেছে।
বালুরঘাট পৌর এলাকার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল রাত্রে শুরু হলো ওইতিহ্য বাহি চামুণ্ডা মায়ের পুজো। এইপুজোতে উপস্থিত ছিলেন পৌরপ্রধান অশোক মিত্র।
তিনি জানান এই চামুণ্ডা মাতার পুজো ৭২ বছরে এবার পদার্পন করেছে।এই চামুন্ডা মায়ের পুজোতে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি আসেন সেখানে। তিনি জানান সুন্দর পরিবেশে পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। তিনি জানান মায়ের কাছে প্রার্থনা করলেন অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তি কে যেন প্রতিষ্ঠা করেন।এই কমনা করে মন্দির প্রাংগন থেকে বেড় হন।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা বালুরঘাট পৌর এলাকার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওইতিহ্য বাহি চামুণ্ডা মায়ের পুজো ৭২...