বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এবার দক্ষিন দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের অচলা অবস্থা কাটাতে পড়ুয়াদের স্বার্থে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলেন রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি তথা জেলার ভূমিপুত্র সৌরভ প্রসাদ। পাশাপাশি তার দাবি যদি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এব্যাপারে সদুত্তর না পাওয়া যায়। তবে তারা পড়ুয়াদের স্বার্থে এই নিয়ে বৃহৎত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান তিনি।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হামেশাই দাবি করে থাকেন বামের আমলে ছিল হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।২০১১ তারা ক্ষমতায় এসে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যায়ালয় করেছেন মোট ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলির হাল কেমন তা দক্ষিন দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল দেখলেই অনেকের বুঝে নিতে কোন অসুবিধে হবার নয়।
দেখলে মনে হবে কার্যত যেন দক্ষিন দিনাজপুর বিশ্ব বিদ্যালয় তুলে দেবার মত প্রক্রিয়া যেন শুরু হয়েছে।
উপাচার্যহীন দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গত প্রায় এক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন থেকে শুরু করে কর্মরত কর্মী ও অতিথি অধ্যাপকদের বেতন দেওয়া নিয়েও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় উপাচার্যের সই ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসার থাকলেও কর্মীদের বেতনে দেওয়ার এক্রিয়ার নেই। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বেতন বন্ধের মুখে। এনিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসক ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সাথে কথা বলেছেন। চিঠির মাধ্যমেও বিষয়টি জানানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় দুই বছর হতে চলছে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন উন্নতি নেই। নিজস্ব ক্যামপাস, নিজস্ব ক্লাসরুম থেকে শুরু করে কিছুই এখনও গড়ে ওঠেনি। এমনকি নতুন করে তিনটি বিষয়ের বেশি বিষয় এখনও চালু হয়নি। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার শিক্ষামহল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা করেছিলেন।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এর পদে সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ এর জুলাই মাসে পঠনপাঠন শুরু হয়।