ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে মালদার মানিকচকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ ।

0
210

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—অভিযোগ ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার । এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মালদার মানিকচকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ ।রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের 36 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন চলছে ।তারই মধ্যে শনিবার এক ভুয়ো শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । তফশিলি জাতির জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যে দেড় বছর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন ওই শিক্ষিকা । ঘটনা মালদার মানিকচকের । অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল ।জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি । এরপর আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন মালদার সদর মহকুমাশাসক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে । তার ভিত্তিতে শনিবার ওই ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । চলছে তদন্ত।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চাঁপা মণ্ডলের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে । 2021 সালের অক্টোবরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্ণাহি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন । তিনি তফশিলি কোটায় সেই চাকরি পেয়েছিলেন । তাঁর সমস্ত নথিপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তি চাঁপাদেবীর নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন । সেই মামলায় বিচারপতি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা সদর মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন ।মহকুমাশাসক সব খতিয়ে দেখে মানিকচক থানায় চাঁপা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ চাঁপাদেবীকে গ্রেফতার করে। এদিন তাঁকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর 10 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । আদালতে যাওয়ার পথে এনিয়ে চাঁপাদেবীকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেনি । কিছু বলতে চায়নি পুলিশও । তবে এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন,”ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল । আদালতের নির্দেশে সদর মহকুমাশাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন । অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পুলিশে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন । তার ভিত্তিতেই মানিকচক থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ।”