মা,মানে বেঁচে থাকার দ্বিতীয় অক্সিজেন।

0
194

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ আজ ১৪ই মে, শুভ মাতৃ দিবস। বছরে শুধুমাত্র একটা দিন মাতৃ দিবস হলেও প্রতিটি দিনই এই দিবস পালন করা যায়।মা হলেন ঈশ্বরের সেরা উপহার, পৃথিবীর সব থেকে প্রিয় আপনজন। মা ছাড়া সন্তানরা ভীষণভাবে অসহায়। সংসারে যদিও পিতার ভূমিকা আছে কিন্তু মায়ের ভূমিকা অনেক অনেক গুণ বেশি। মা ছাড়া যে কোন সংসার অসম্পূর্ণ, সন্তানদের জীবন অসম্পূর্ণ। সন্তানদের মানসিক গঠনে মায়ের অবদান অনেক বেশি। শুধু মানুষের ক্ষেত্রে নয় পশু,পাখিদের ক্ষেত্র আমরা দেখেছি মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। তাই বলা হয় জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী । সন্তানকে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে রাখা, তাদের তাদের লালন পালন করা, একটি শিশুর কাছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় স্থল হলো তার মায়ের কোল।শারীরিক, মানসিক গঠনে নজর রাখা, সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করে তোলা, সন্তানের জন্য ব্যাকুলতা সবকিছু সিংহভাগ করে থাকেন মা। মা পিপাসার জল,মা ভালবাসার সিন্ধু,মা ব্যাথার ঔষুধ,মা স্বর্গের আভাস।তুমি আমার মা, আমি তোমার মেয়ে এই গানটি মা- মেয়ের চিরন্তন অটুট সম্পর্কের উজ্জ্বল নিদর্শন। মেয়েদের নিজস্ব কোন বাড়ি নেই। মেয়েরা বাপের বাড়িতে বড় হলেও সকলকে বিষাদ সাগরে ভাসিয়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে হয়। স্বামীর ঘরই প্রত্যেকটি মেয়েদের ঘর। প্রত্যেক মাকে একদিন বাপের বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়িকে নিজের করে নিতে হয়, সকলের মঙ্গল কামনা করতে হয়। মায়ের তুলনা হয় না। মা- মেয়ে সমার্থক। আজকে যে মেয়ে ভবিষ্যতে সে মা। সেই মেয়ে বা মা হল দুই কুলের প্রদীপ শিখা।

বাঁকুড়া থেকে আবদুল হাই এর বিশেষ প্রতিবেদন