রাজ্য সরকার বিভিন্ন জায়গায় মা ক্যান্টিন করলেও সরকারি হাসপাতালে রোগীদের কপালে জুটছে না ভাত, হাসপাতালেও ভাত চুরির অভিযোগ রোগীদের।

0
188

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  চাকরি চুরি, কয়লা চুরি ,বালি চুরি, পাথর চুরি এবার নতুন সংযোজন রোগীর ভাত চুরি। ঘটনা অবাস্তব মনে হলেও বাস্তবে একেবারে সত্যি ঘটনা। ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের গ্রামীন হাসপাতালের । দীর্ঘ14 দিন পরছে না রোগীর পাতে ভাত । শুধু ভাত নয় জল খাবারটাও চুরি হয়ে গেছে । অভিযোগ করছেন স্বয়ং রুগীর পরিবার । বেশ কিছুদিন যাবৎ কারেন্ট চলে গেলে অন্ধকারে থাকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল সেই ছবি আমরা তুলে ধরেছিলাম । রোগীরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাই । চিকিৎসা করাতে এসে ভর্তি হয়ে রোগীদের অভিজ্ঞতা হয়েছিল হাসপাতালে । মনে করেছিলাম সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবো । বড় হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন দুদিনের মধ্যে একটা ডাক্তারও দেখতে যাননি রোগীকে । রোগীর অভিযোগ তার জ্বর কমে গেছে, বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে রয়েছে তখন তিনি চিকিৎসককে বলেন তাকে ছুটি দেওয়ার জন্য । চিকিৎসক জানান ছুটি তার হবেনা । সে তখন বলে আমি হাসপাতাল থেকে চলে যাব ছুটি না দিলে। চিকিৎসক বলেন হাসপাতাল থেকে যেতে গেলে লিখিত দিয়ে যেতে হবে শেষ ইচ্ছায় চলে যাচ্ছে । পাশাপাশি তুমি যেতে পারবে কিন্তু আমরা তোমাকে হাসপাতালের কোন কাগজ দেবো না । রোগী যখন বলে, কাগজ যখন দেবেন না তখন সইও আমি করব না । রোগী রোগ অভিযোগ হাসপাতাল থেকে চলে গেলে থানায় অভিযোগ জানানো হবে রোগীর নামে । ভাবতে পারেন হাসপাতালে রোগী কেউ ভয় দেখানো হচ্ছে পুলিশের । ঘটনা জানবার জন্য বারবার ফোন করা হয়েছিল কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে বি এম ও এইচ সাথি কুন্ডুকে । তিনি ফোন তোলেন নি । মাজদিয়ার আদিত্যপুর এর প্রলয় রায় রোগীর পরিবারের অভিযোগ শিশুর চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসককে চিকিৎসার জন্য বলা হলে শিশুর পরিবারের সাথে খারাপ ব্যবহার করে চিকিৎসক । বিএমএইচ কে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে । আজ পর্যন্ত কোন উত্তর পাওয়া যায়নি । এ ব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার নিজের দপ্তরের এই দশা রোগী আজ খাবার পায় না । পাশাপাশি হাঁসখালির বগুলা গ্রামীন হাসপাতাল রয়েছে সেখানে খাবার চলছে যথারীতি নিয়ম মেনে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিকাঠামো অনেক ভালো । তাহলে কি কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতলে ও কোন দুর্নীতির জাল বিস্তার করছে । আবার মুখ্যমন্ত্রী গর্ব করে বলছেন তিন বছরে ডাক্তার দেড় বছরে নার্স দেবেন । হাসপাতালের এই করুণ দৃশ্য দেখে সবাই হতবাক , এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক শিবনাথ মুখার্জি বলেন জনমানুষে প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ টাকায় মা ক্যান্টিনে ডিম ডাল ভাতের ব্যবস্থা করা হয় । তবে কি রাজনীতির ফায়দা তুলতে না পারার জন্য হাসপাতালে রোগী পায় না ভাত । কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও কামাল উদ্দিন আহমেদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলবেন না। অথচ তিনিও এই হাসপাতালের কমিটিতে রয়েছেন । এমনিতেই হাসপাতালে গেলে দেখা যায় কুকুরে কামড়ালে বিড়ালে কামড়ালে ইঞ্জেকশনের সিরিজ কিনে এনে দিতে হয় বাইরে থেকে রোগীর পরিবারকে । এবার হাসপাতালে অসুস্থ রোগীরা খাবার থেকে বঞ্চিত । এবার নতুন সংযোজন রোগীর জন্য ভাত কিনে দাও অন্যথায় অনাহারে থেকে মরো । এ ব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদার বলেন তিনি নাকি এই ঘটনা জানতেন না । আজ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সাথে তিনি কথা বলবেন । পাশাপাশি তিনি জোড়ের সঙ্গে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সমস্ত মানুষের কথা চিন্তা করেন তখন কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের প্রতি যে ভাবে খাদ্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে তার তিনি নিন্দা করেন । তিনি জোরের সঙ্গে বলেন এর আসল কারণ কি সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে ।
সব হাসপাতালের ক্ষেত্রে খাবার চলছে একটা হাসপাতালে খাবার বন্ধ । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে সম্পূর্ণ গাফিলতি রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের । পাশাপাশি তিনি বলেন এটা খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার । আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি । তবে এটা আমাদেরও বলতে দ্বিধা নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না বলেই আমাদের বিশ্বাস । বিরোধীরা যতই যা বলুন না কেনো তিনি সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করেন । তিনি যদি করতেন সমস্ত হাসপাতালের জন্যই খাবার বন্ধ করতেন । কিছু সরকারি কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর বদনাম করবার জন্য এ ধরনের কাজ করছেন কিনা ভাবার সময় এসেছে । আশা করি স্বাস্থ্য দপ্তরের হস্তক্ষেপে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে যদি কেউ দোষী হয় তার শাস্তি অবধারিত । সময় বলবে, কার ভুলের জন্য অমানবিক কাজ রোগীর ভাত বন্ধ ।
সময়ের অপেক্ষায় রইলাম আমরাও ।