আজ দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় ৩৭ জন স্বনির্ভর মহিলা গোষ্টীর সদস্যদের হাতে বায়োমেট্রিক মেশিন তুলে দিল জেলা প্রশাসন।

0
134

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার বয়ষ্ক ব্যাক্তিরা বাড়িতে বসে যাতে ব্যাংকে না গিয়ে ও তাদের গচ্ছিত টাকা তুলতে পারেন। সে দিকে লক্ষ রেখেই আজ দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় ৩৭ জন স্বনির্ভর মহিলা গোষ্টীর সদস্যদের হাতে বায়োমেট্রিক মেশিন তুলে দিল জেলা প্রশাসন।

মংগলবার বালুরঘাটে বালুছায়া প্রেক্ষাগৃহে আনন্দধারা প্রকল্পের মধ্যমে সরকারি ব্যবস্থ্যাপনায় ব্যাংকিং সেক্টরের সাথে যুক্ত এই সব স্বনির্ভর গোষ্টী মহিলা সদস্যদের হাতে এই মেশিন তুলে দেন জেলা শাসক সহ অনান্য জেলার আধিকারিকগন। এই ৩৭ জন মহিলা সদস্যকে সরকারি ভাবে এই মেশিন ব্যবহার করবার প্রশিক্ষন দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে বলে জেলা শাসক বিজিন কৃষনা জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান এর আগেও স্বনির্ভর দলের একটি ব্যাচ কে এই প্রশিক্ষনের মধ্যমে কাজে নামানো হয়েছিল। যাতে গ্রামের মানুষজন ঘরে বসেই ব্যাংকের সুবিধে পেতে পারেন। তাদের সাফল্যতাই ফের আজকে প্রশাসনের তরফে ৩৭ জন স্বনির্ভর দলের , যারা ব্যাংকিং সেক্টরের সাথে কাজ করছেন, তাদের থেকেই এই ৩৭ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাদের প্রশিক্ষন দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলে তাদের হাতে এই আধুনিক বায়োমেট্রিক মেশিন তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে গ্রামের মানুষের যেমন এদের ফোন করে যোগাযোগ করে ঘরে বসেই তাদের ব্যাংকে রাখা গচ্ছিত টাকা প্রয়োজন মত তুলতে পারবেন। তেমনি যারা বয়ষ্ক মানুষজন রয়েছেন তাদের এই সুবিধার ফলে হয়রানী কমবে কষ্ট করে আর তাদের ব্যাংকে যেতে হবে না। বিনিময়ে এই স্বনির্ভর দলের মহিলারা একটা নির্দিষ্ট হারে কমিশন এই কাজের দরুন যেমন পাবেন। তেমনি ভাবে দলের সদস্যরা নিজেদের আরো আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে পারবেন। সেই লক্ষেই এই আনন্দধারা প্রকল্পের মধ্যমে আজকে তাদের হাতে এই বায়োমেট্রিক মেশিন গুলি তুলে দেওয়া হলো বলে জেলা শাসক জানান।অপরদিকে স্বনির্ভর গোষ্টীর এক সদস্য জানান এর ফলে মানুষের হয়রানীর পাশাপাশি সময় বাচবে।