রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তা ধরে জোকারের পোশাক পড়ে এবার গান গাইতে দেখা গেল এক প্রাণচঞ্চল জোকার কে।

0
148

উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- আজকাল আর গ্রাম গঞ্জে দেখা যায় না কোন সার্কাস এর শো। সবকিছুই যেন হারিয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে। একটা সময় গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন মেলাতে দেখা যেত নামিদামি সংস্থার সার্কাস। আর সেই সার্কাসে প্রধান আকর্ষণই ছিল জোকারের অভিনয়। যারা তাদের জীবনে হাজারো কষ্টের মধ্যেও হাজার দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতো। একেক জনের পারদর্শিতা একেক রকম ছিল। কিন্তু আজ গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে গেছে সেই সার্কাস। কাজ হারিয়েছে তারা।কিন্তু রয়ে গেছে তার কিছু স্মৃতি। সেই জোকারের অভিনয় কে পাথেয় করে রুটি রুজির তাগিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবার জোকাররা। এমনই এক জোকারের সন্ধান পাওয়া গেলএবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তা ধরে জোকারের পোশাক পড়ে এবার গান গাইতে দেখা গেল এক প্রাণচঞ্চল জোকার কে। সাথে সে হাসিমুখে গান গাইছে সে ,জিনা ইহা মরনা ইহা, ইস্কে সিভা জানা কাহা। পা ফেলে একটু এগিয়ে গিয়ে সাধারন মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে কখনো বসে কখনো বা দাড়িয়ে গল্প করতে দেখা গেল। কথায় কথায় সে জানায় তার বাপ ঠাকুরদার জাত ব্যবসাকে টিকিয়ে রেখেছে এই ভাবেই পথে পথে সাধারণ মানুষদের অভিনয়ের মাধ্যমে আনন্দ দিয়ে সেখান থেকে কিছু টাকা সংগ্রহ করে। সুদূর আলিপুরদুয়ার জেলার বাসিন্দা বছর সাতাশের ছোট ভাটের কাছে বহুরূপী সেজে উপার্জনটা তার পারিবারিক ঐতিহ্য। আগে বাবা পরেশ ভাট এই পেশায় যুক্ত ছিলেন। বাবার ঐতিহ্য সে এখন বহন করছে বলে জানায় ছোট্ট। তার কথায় তার বাড়িতে এখন মা ভাই বোন সহ স্ত্রী মধু এবং তার দুই সন্তান মিরাজ এবং সিমরন রয়েছে। তাই সংসার চালাতে গেলে আর্থিক দিকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই অর্থের খোঁজে জেলায় জেলায় সে ঘুরে বেড়াচ্ছে পথে পথে সাধারণ মানুষদের আনন্দ দিয়ে তার বিনিময়ে কিছু টাকা উপার্জন করে।এই কাজে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোনমতে সংসার চালাতে হয় আলিপুরদুয়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, অসীম দা অর্থাৎ এই ছোট্টু কে। এদিন দেখা যায় রায়গঞ্জ এর শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় ছোট একটি বাচ্চাকে আনন্দ দিতে । আর দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন রাজ কাপুরের সেই মেয়েরা নাম জোকারের বিখ্যাত গানের কলি জিনা ইহা মরনা ইহা, ইস্কে সিভা জানা কাহা।