দিদিমনির অনিয়মিত কেন্দ্রে আসা নিয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকার অভিভাবকরা তালা মেরে আটকে রাখল অংগনেওয়াড়ী কেন্দ্রের কর্মীদের।

0
147

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শিশুদের নিমমানের খাবার দেবার পাশাপাশি দিদিমনির অনিয়মিত কেন্দ্রে আসা নিয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকার অভিভাবকরা তালা মেরে আটকে রাখল অংগনেওয়াড়ী কেন্দ্রের কর্মীদের। আজ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট এলাকা গ্রামপঞ্চায়েতের বড় রঘুনাথপুর অঞ্চলের ৭১নম্বর অংগনেওয়াড়ী কেন্দ্রে।এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তে নামলে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।

এলাকার ক্ষুদ্ধ বাসিন্দা ও অভিভাবকদের অভিযোগ বেশ কয়েকমাস ধরে এই অংগনেওয়াড়ী কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মী বলতে গেলে সপ্তাহে একদিন করে কেন্দ্রে আসে। যাও বা একদিন আসেন তাও আসেন বারোটার পর, এই সময়ের মধ্যে না পড়ান শিশুদের না দেন ভাল সুসংহত খাবার। অধিকাংশ দিন রান্না খাবারে মেলে কেল্লা, ও অনান্য পোকা মাকড়। মাঝে মাঝেই শোনা যায় এই কেন্দ্রের হেল্পার অসুস্থ তার ফলে খাবার অমিল হয়ে যায়। যদিও বা খাবার চালু রাখেন তো আশপাশের বাড়ি থেকে নুন হলুদ, তেল চেয়ে নিয়ে এসে রান্না চাপান তারা। ক্ষুদ্ধবাসিন্দাদের অভিযোগ সরকার যখন রান্না করা খাবারের জন্য অর্থ দেয় তাহলে কেন পরের কাছ থেকে রান্নার সামগ্রী চেয়ে নিয়ে এসে রান্না করা হচ্ছে, তাহলে সরকারি পয়সা যাচ্ছে কোথায়।

তাদের আরো অভিযোগ এই নিয়ে তার বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে আজ তারা বাধ্য হয় এই কেন্দ্রের কর্মী ও হেল্পারদের অন্যত্র বদলি করবার জন্য তাদের এই অনিয়মের প্রতিবাদে তালা মেরে আটকে রেখে প্রতিবাদ জানাতে। এ ব্যাপারে স্থানিও পুলিশ ও বিডিওর কাছেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।

এদিকে খবর পেয়ে স্থানিও গ্রাম প্রধান সুভাষ সরকার ঘটনাস্থলে এসে পৌছন। তিনিও দাবি করেন এই কেন্দ্র নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি গুরুতর। খাবারের মান নিম্নমানের পাশাপাশি কর্মীরা অনিয়মিত আসা যাওয়া নিয়ে স্থানিওদের ক্ষোভ রয়েছে। তিনি এব্যাপারে স্থানিও বিডিওর নজরে এনে এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থ্যা নেবেন বলে জানান।

যদিও সেন্টার কর্মী অভিযোগ অস্বিকার করে জানান তাকে আজ মার ধোর করা হয়েছে।যদিও প্রধানের দাবি উনি মিথ্যে বলছেন বিরং উনি আজ তার এক পুত্র সম শিশুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বলে গ্রামবাসিরা জোট বেধে আগের সব অভিযোগের সাথে আজকের গালি দেওয়ার ঘটনার জন্য প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছেন বলে গ্রাম প্রধান সুভাষ সরকার দাবি করেন।
বাইট সুভাষ সরকার
প্রতীতি বিশ্বাষ