বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে দাদার বাড়ি থেকে ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার।

0
242

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে দাদার বাড়ি থেকে ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। শনিবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। মৃত ব্যক্তির নাম সুরেশ রায় বয়স আনুমানিক ৪৭ বছর।জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের উত্তর গোঁসাইয়ের হাট এলাকাবার বাসিন্দা সুরেশ রিয়ের স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে সংসার। ঘটনার দিন স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিল। শুক্রবার রাতে একাই বাড়িতে ছিলেন সুরেশ রায়। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দাদার বাড়ির লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভ্যানের ওপর পড়ে থাকতে দেখে। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটি আছে স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইসি সুজয় তুঙ্গার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে দেখে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে পড়ে রয়েছে এর বাঁশের লাঠি, বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ। যাকে ঘিরে সন্দেহের দানা বাঁধছে এলাকাবাসীদের মনে। স্থানীয়দের অনুমান বাড়ি থেকেই প্রথমে তাকে মারধর করা হয় এরপরে বাঁচার তাগিদে রাস্তা দিয়ে পালিয়ে বাঁচার সময় সেখানেও তাকে আঘাত করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান এলাকাবাসীদের। অবশেষে নিজের দাদার সুরেন রায়ের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ভ্যানের উপরে তার দেহ উদ্ধার হয় । কিন্তু কে বা কারা? এ ঘটনা ঘটালো তা এখনো পরিষ্কার নয়। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী অঞ্জলি রায়ের জানিয়েছেন, তার স্বামী বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। আগে ভ্যান চালাত কিন্তু এখন কোন কাজ করে না। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেশীরা তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাও বলে। তার অভিযোগ,এর আগেও তার স্বামীকে প্রতিবেশীরা মারধর করেছিল।
তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য পাঠিয়েছে।