লক্ষ্মীপুর নয়াপাড়া থেকে ভেদা বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা।

0
233

উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকইল গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর নয়াপাড়া থেকে ভেদা বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয় গ্রামবাসীদের আন্দোলনের তলা পড়ল এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রতেও। গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্য কর্মীদের ঘরের ভেতর রেখে তালা লাগিয়ে আজ তারা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটালো এভাবেই। এদিন দেখা গেল গ্রামবাসীদের পথের মাঝে কচু গাছ লাগিয়ে বার্তা দিতে চাইলো আমাদের গ্রামের রাস্তা কবে হবে আমরা কি মানুষ না আমরা কি ভোট দিই না। শুধু হবে হবে করেই শুনে আসছি বহু বছর ধরে।। এখানকার গ্রামবাসীরা বলেন এখানকার রাস্তা এতটাই খারাপ যে এখানে কোন বিয়ের সম্বন্ধ হতে চায় না পাশাপাশি এই গ্রামে রাতে বিরাতে গর্ভবতী মায়েরা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলে এমন এর মধ্যেই তারা প্রসব করে দেন। যা এই সমাজের কাছে বিরাট লজ্জা। অনেক গ্রামবাসী বলেন বহুবার এখানকার রাস্তা সারা এর দাবিতে তারা লিখিতভাবে জানিয়ে আসলেও আজ অব্দি তাদের এই সমস্যার কথা কেউ শোনেনি। আজ সরকার কুম্ভকর্ণের মতন ঘুমিয়ে আছে। এবার আমরা জাগাবোই। গ্রামবাসীরা বলেন প্রতিবার ভোটের আগে এখানে এসে শাসকদলের নেতারা বলেন আপনারা ভোট দিন তাহলেই রাস্তা হয়ে যাবে। কিন্তু ভোট চলে যাওয়ার পর রাস্তা তো হয়নি বরঞ্চ নেতারা আর সেই গ্রামে ফিরেও তাকায়নি। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন এই গ্রামে এই রাস্তায় বিগত দিনে যখন বিধায়ক তপন দেব সিংহ ছিলেন তখন বহুবার পিতা কেটে গিয়েছেন কিন্তু রাস্তা আর হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকারের স্বামী একজন ফাস্ট ক্লাস ঠিকাদার তিনি তো বহুবার এই গ্রামে আসেন কিন্তু তিনি নিজে দেখে গেলেও আজও সেই সমস্যা সমাধান করতে পারেননি তিনি তাহলে কাদের উপর ভরসা আমরা রাখবো। গ্রামের অনেক মহিলারা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি মেয়ে মানুষদের সমস্যা ব্যথা বেদনার কথা বোঝেনই না যদি বুঝতেন তাহলে হয়তো বা তাদের গ্রামে এই রাস্তা অনেকদিন আগেই হয়ে যেত। গ্রামবাসীরা বলেন এমনটা যদি চলতে থাকে আর রাস্তা যদি তাদের গ্রামের না হয় এবার তাহলে সামনে পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামের কোন মানুষই ভোট দিবেন না যতই নেতারা এসে এবার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিক না কেন। আগে গ্রামের রাস্তা চাই তারপর ভোট। গ্রামের সাধারণ মানুষরা বলেন জেলা পরিষদ কি ঘুমোচ্ছে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি কি ঘুমোচ্ছে তা না হলে যেই রাস্তার উদ্বোধন হয়ে যায় অনেক আগেই সেই রাস্তার কাজ কেন শুরু হলো না এখনো অব্দি এই প্রশ্ন কিন্তু এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে। আজ দেখা গেল গ্রামের মানুষদের খুব উগরে দিতে প্রশাসনের উপর। তারা পথেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এবং একটা কথাই বলতে থাকে রাস্তা চাই রাস্তা চাই রাস্তা না হলে ভোট ও নাই