নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিয়ের পর ছাড়াছাড়ি, তারপরেও মেয়েকে জোর করে বাপের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় মেয়ের বাড়ির লোকজন, তখনই ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপ ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ছেলে ও ছেলের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের থাল বোয়ালিয়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মেয়ের বিবাহ হয়েছিল পিঁপড়াগাছির এক যুবকের সঙ্গে। তারা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করে বলে জানা যায়। যদিও এই বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবার। মেয়ের উপর তার স্বামীর অত্যাচার হতেই স্বামীর ঘর ত্যাগ করে নিজের বাপের বাড়িতে চলে আসে মেয়ে। বিয়ের পরেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। বর্তমানে মেয়ে বাপের বাড়িতেই থাকে।
মেয়ের বাড়ির অভিযোগ, সোমবার রাত আনুমানিক আটটা নাগাদ ছেলের পরিবার ও বেশ কিছু দুষ্কৃতি এসে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চায়। মীর পরিবারের লোকজন বাধা দিলে মেয়েকে এবং মেয়ের পরিবারের লোকজনকে প্রচন্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে সাত জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি সত্তর বছরের এক বৃদ্ধা কেউ প্রচন্ডভাবে মারধর করা হয় অমানবিকভাবে বলে জানান মেয়ের পরিবার।
খালবোয়ালিয়ার বাসিন্দারা মারধরের সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় মানুষজন জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের সকলকে তাড়া করেন। অভিযুক্তরা সকলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তিনজনকে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। এরপরেই খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ওই তিনজন অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে আসে কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। আক্রান্তরা সকলেই কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।