জামাইষষ্ঠীর দিনে মনস্কামনা পূরণের আশায় স্বপ্নাদেশে তৈরি মন্দিরে ভিড় যুগলদের, ত্রিমূর্তি গাছের নিচে করাহয় আরাধ্য দেবতার আরাধনা।

0
475

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- স্বপ্ন আদেশে তৈরি মন্দির, তাও আবার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাতে স্থাপিত হওয়া। এই প্রাচীন মন্দিরে এখনো চিরাচরিত নিয়মেই পুজিত হয়ে আসছে আরাধ্য দেবতা। মন্দিরে শুধু আরাধ্য দেবতা বিরাজমান নয়, রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি, যা দৈনন্দিন পূজারী দ্বারা পূজিত হয়ে আসছে। হ্যাঁ, মন্দিরটি নদীয়ার আড়ংঘাটার যুগল কিশোর মন্দির নামে পরিচিত। জানা যায় প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দির, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কে স্বপ্নাদেশের পর পাওয়া যায় একটি রাধিকা মূর্তি, পরবর্তীতে মিলন হয় যুগলের, তারপর থেকেই মন্দিরের নামকরণ হয়, যুগল কিশোর মন্দির। কথিত আছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই মন্দির স্থাপনের জন্য দান করেছিলেন কয়েক একর সম্পত্তি, এরপরে স্থাপন করা হয় মন্দির। যদিও আড়ংঘাটা আগে অরণ্য ঘাট নামেই পরিচিত ছিল, আরং মানেই মেলা, পাশে চূর্ণী নদী থাকায় নামকরণ হয় আড়ংঘাটা। এই মন্দিরের চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী পহেলা জষ্টি থেকে শুরু হয় আড়ং, যার বাংলা অনুবাদে মেলা বলে প্রাধান্য দেওয়া হয় পরবর্তীতে,যা উদযাপন হয় গোটা একটি মাস। আজ জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ত্রিমূর্তি গাছের নিচে যুগলরা আসে তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য পুজো দিতে। পুরোহিতদের কাছ থেকে জানা যায়, খুবই জাগ্রত এই মন্দির, আজ পর্যন্ত যুগলদের মনস্কামনা পূরণ হয়ে আসছে। তাই প্রত্যেক বছরই জামাইষষ্ঠীর দিনে অসংখ্য যুগলদের আনাগোনা হয় এই মন্দিরে। তবে আড়ংঘাটার অন্যতম বৈশিষ্ট্য চূর্ণী নদী, এই চূর্ণী নদী থেকেই নাম পরিবর্তন হয় আড়ংঘাটার, যা আগে অরণ্যঘাট নামে পরিচিত ছিল। তবে স্বপ্ন আদেশে তৈরি মন্দিরটি এখনো কর্তৃক পরিচালিত হলেও সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি মন্দির কর্তৃপক্ষ। এখনো সাবেকিয়ানা কারুকার্য মন্দিরের ঐতিহ্য হলেও ধীরে ধীরে শুরু হতে চলেছে ভগ্ন দশা।