পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- গত মঙ্গলবার হঠাৎ কালবৈশাখী তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা বর্ধমান শহর। কোথাও ভেঙে পড়ে গাছ আবার কোথাও ভেঙ্গে পড়ে গেট। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বর্ধমান শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড। এই ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। মানুষজন জানান স্থানীয় পৌর পিতা সনৎ বক্সী কে। স্থানীয় পৌর পিতা সনৎ বক্সী ঘটনাস্থলে আসেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান খুব তাড়াতাড়ি গাছটি কেটে দেওয়া হবে। তারপর আর দেখা পাওয়া যায় না স্থানীয় পৌরপিতা। স্থানীয় মানুষজন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি চাঁদা তুলে লোক আনিয়ে গাছ কাটানোর ব্যবস্থা করেন। এই এলাকায় অত্যন্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষরা বসবাস করে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা তাদের কাছে ছিল না গাছ কাটার জন্য। আজ এই ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় উপস্থিত হন বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীর রঞ্জন সাউ। স্থানীয় মানুষজন কাউন্সিলর এর প্রতি তাদের ক্ষোভ উবড়ে দেন বিজেপি নেতার কাছে। তারপর এই ঘটনাস্থল উপস্থিত হন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সহধর্মিনী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সমা বক্সী তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় এক বাসিন্দা ঝুলন সরেন বলেন, মঙ্গলবার ঝড়-বৃষ্টিতে এই গাছটি পড়ে যায়। তারপর আমরা কাউন্সিলর কে জানাই তিনি এসেছিলেন কিন্তু বলেন অপেক্ষা করুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারপর আর তার দেখা আমরা পাই না। আমরা খুব গরীব মানুষ আমরা নিজেরাই খেতে পাই না আমরা এই গাছ কাটার টাকা কিভাবে জোগাড় করব। বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীর রঞ্জন সাউ বলেন, আপনারা জানেন গত মঙ্গলবার কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাক গোটা বর্ধমান শহর। তারপর আজ আমাদের কাছে খবর যায় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডব একটি গাছ বাড়ির মধ্যে পড়ে গেছে। কিন্তু সেই গাছটি কাটার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে মানুষ বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর এসেছিলেন বলেছেন যে তোমরা আমাদেরকে ভোট দাও নি আমরা কোন কাজ করবো না। আমরা আসার পর তৃণমূলের কিছু লোকজন এসে উপস্থিত হয় তাদেরকে মানুষজন চোর, ডাকাত বলে আখ্যা দিতে শুরু করেন।