বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে গৃহস্থ বাড়ি থেকে সর্বস্ব লুট, সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের দ্বারস্থ মহিলা।

0
210

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা: – বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে গৃহস্থ বাড়ি থেকে সর্বস্ব লুট, সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের দ্বারস্থ মহিলা, প্রায় লক্ষাধিক টাকার আসবাব পত্র চুরি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বেরপাড়া এলাকার। ওই এলাকার বাসিন্দা শিপ্রা বসাকের দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পরে সংসার চালানোর জন্য ইমিটেশনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন সাজগোজের জিনিসপত্র। গত দু-তিন দিন তিনি ব্যবসার জন্য বাইরে ছিলেন, তার একমাত্র মেয়ে বাবার বাড়িতে ছিল। আজ সকালে ট্রেনে করে বাড়িতে এসে দেখেন গ্রিলের তালা ভাঙ্গা, এরপরে দেখেন ঘরের দরজার তালাও ভাঙ্গা অবস্থা পড়ে রয়েছে। ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখেন সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে, পাশের ঘরেও একই অবস্থা। শিপ্রা বসাকের দাবি, আলমারি ভেঙে সোনা রুপার গহনা এবং ইমিটেশনের সমস্ত জিনিসপত্র লুটপাট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। পাশের ঘর থেকে কাঁসার বাসনপত্র সহ মেয়ের একটি সাইকেল সেটাও চুরি করে দুষ্কৃতীরা, যদিও এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়ে যায় শিপ্রা বসাকের। অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। এরপর অক্লান্ত পরিশ্রমে ধীরে ধীরে ব্যবসা বড় হয়। কিন্তু হঠাৎ যে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন তা স্বপ্নেও কোনদিন ভাবতে পারেননি। শুক্রবার চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তিপুর থানার দারস্ত হয় শিপ্রা বসাক, এরপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে শিপ্রা বসাকের বাড়িতে গিয়ে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে শিপ্রা বসাক দাবি করছেন এই চুরি ষড়যন্ত্র করে, কারণ স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তাদের ভিটেমাটি জোরপূর্ব কেনার জন্য চেষ্টা করেছিল বেশ কিছু প্রভাবশালী, আর তার একমাত্র সম্বল বাড়িটুকু, এই চুরির পেছনে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি করছেন শিপ্রা বসাক। তবে গোটা শান্তিপুর জুড়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আবারো চুরির প্রবণতা বেড়েছে, পুলিশ প্রশাসনও রাতভর করা নজরদারি চালালেও ঘটে যাচ্ছে একের পর এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। এখন দেখার প্রশাসন এই চুরির ঘটনা গুলি কিভাবে দ্রুততার সাথে দমন করতে পারে।