নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- অনেকটা হিন্দি সিনেমার মতন! পরিবার প্রধান বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও মাত্র একমাস কিস্তির টাকা না পেয়ে, লোন দেওয়া এজেন্সির তিন মোটরসাইকেলের ৬ জন ব্যক্তি এসে, স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ঘর থেকে জোর করে ৯ মাস আগে কেনা ফ্রিজ এবং টেবিল ফ্যান নিজেদেরই আনা টোটো তে উঠিয়ে নিয়ে গেলো এজেন্সির লোকেরা। শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে এজেন্সির পক্ষ থেকে, জানানো হয় , তারা কমপ্লেন করতে গেলেও নেবে না পুলিশ। যদিও ঘটনা জানতে পেরেই শান্তিপুর থানার ওসি সুব্রত মালাকার তৎপরতার সাথে জমা নিলেন অভিযোগ পত্র।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে নদীয়ার ফুলিয়া বয়রা এলাকায় । পেশায় অন্যের গাড়িচালক বিদ্যুৎ ঘোষ, তিন মাস আগে ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে, কৃষ্ণনগর ভাতজাংলায় এক লোন পাইয়ে দেওয়া এজেন্সির অফিসে যোগাযোগ করেন। একটি বেসরকারি ব্যাংকে ৩৫ হাজার টাকা ঋণ মঞ্জুর হলেও তারা হাতে পান 29 হাজার টাকা। বাকি ছয় হাজার টাকা তাদের পারিশ্রমিক বলেই জানান বিদ্যুৎ বাবু যার কিস্তি হিসাবে ৪৩৩৯ টাকা করে নটি কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। কিন্তু, তার অভিযোগ , দুমাস ঠিক সময় মতন কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারলেও তৃতীয় মাসে তিনি রাজ্যের বাইরে গাড়ি চালাতে যাওয়ার কারণে, সঠিক সময়ে তাদেরকে দিতে পারেননি। আর এতেই, রীতি মতন বাড়ির স্ত্রী কন্যাদের গায়ে হাত দিয়ে, ঠেলে ফেলে নিজেদের আনা টোটো তে ন’ মাস আগে কেনা ফ্রিজ এবং টেবিল ফ্যান নিয়ে গেছে এজেন্সির তিনটি মোটরসাইকেলে আসা ছয় জন ব্যক্তি।
আইন হাতে তুলে নেওয়ার, এবং এই দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালানোর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি চেয়ে তিনি শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেন।
স্ত্রী বিউটি ঘোষ বলেন, মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই এই ঘটনায় হকচকিয়ে গিয়েছিলেন তারা। দুই একজন প্রতিবেশী আসলেও এই তান্ডব দেখে তারাও এগোতে সাহস পাননি। এমনকি আগতদের জোর হাত করে অনুরোধ করেছিলাম এ মাস এখনো শেষ হয়নি, দুটি কিস্তি একসাথে দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সে বিষয়ে কান না দিয়েই
পরবর্তীতে কর্মসূত্রে জেলার বাইরে থাকা স্বামীকে ওই এজেন্সির লোকেরা ফোনে হুমকি দিয়েছে, এ শান্তিপুর থানায় কোন ডায়েরী নেবেন না বলে ।
যদিও মাননীয় ওসির সহযোগিতায় তা জমা করতে পারি।