উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- চুই ঝাল পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের তাঁরা প্রসাদ। ইতিমধ্যে তাঁর বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে গত আট মাস ধরে এই চুই ঝালের চাষ শুরু করেছেন তিনি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি লঙ্কার ঝাল খেতে পারতেন না। এদিকে বেশিরভাগ তরকারিতে ঝাল না দিলে স্বাদই হয় না। এই গুরুতর সমস্যা থেকে বিশ্বকবিকে বাঁচিয়েছিল চুই ঝাল!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুশকিল আসান চুই ঝাল বর্তমানে বাংলাদেশে জনপ্রিয় হলেও এই প্রথম কালিয়াগঞ্জ-এর মাটিতে চাষ হচ্ছে এ চুই ঝাল। পান পাতার মতো সবুজ রঙের দেখতে হলেও পান ভাবলে অনেকেই ভুল করবেন। মসলা জাতীয় এই চুই ঝাল বহু খাবারে ব্যবহার করা হয়। চুই ঝালের কান্ড মাছ, মাংস ,আচার, ঝাল মুড়ি চপ ভর্তা বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। মোট কথাই বলতে গেলে গোলমরিচ বা লঙ্কার বিকল্প হিসেবে এই চুই ঝাল ব্যবহার করা হয়।সুতরাং, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মরিচের বিকল্প হিসেবে চুই ঝালের জনপ্রিয়তা বাড়লে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে ভেষজ গুণ থাকার কারণে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।কালিয়াগঞ্জ-এর বাসিন্দা তাঁরা প্রসাদ ইতিমধ্যে চুই ঝালের চাষ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাঁরা প্রসাদ জানান এই চুই ঝাল অনায়াসে সুপারির গাছে লাগিয়ে চাষ করা যায়।তাঁরা বাবু তাঁর নার্সারিতে আজ চার বছর ধরে এই চুই ঝালের চাষ করেছেন। তাঁরা বাবু বলেন অনেকেই এই চুই ঝাল এর ব্যবহার জানেন না এবং এর যে উপকারী গুণ তাও জানে না।
চুই ঝালের উপকারী গুণ নিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর বিশিষ্ট ডাক্তার চিন্ময় দাসগুপ্ত জানান এই চুই লতা জাতীয় গাছ-এর কাণ্ড ধূসর এবং পান পাতার মতো, দেখতে হলেও এর বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে। চুই লতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল-ফল সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন। এছাড়াও মসলা হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। মূলত, রান্নার জন্যে চুইঝালের কাণ্ড ব্যবহার করা হয়। চিন্ময় বাবু বলেন এই চুই ঝাল খাবারের রুচি বাড়াতে এছাড়াও ক্যানসার প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা চুই ঝাল পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার...