নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরের কাজে বাঁধা দিতে গিয়ে ভাইপোকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো কাকু,কাকিমা ও তাদের দুই ছেলের বিরুদ্ধে।মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গোলামোড় এলাকায়।এই নিয়ে এদিন গোলামোড় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
তবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,মৃত যুবকের নাম সুকুমার সাহা ওরফে বিষ্ণু (১৮)।বাড়ি গোলামোড় এলাকায়।বুধবার সন্ধ্যায় দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।আজ সকালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।রাতেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে কাকু প্রফুল্ল সাহা,কাকি দিপালী সাহা ও তাদের দুই ছেলে দীপঙ্কর সাহা ও প্রদীপ সাহা সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে।ঘটনার পরেই কাকু প্রফুল্ল সাহাকে পুলিশ আটক করেন এবং বাকিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে খবর।তবে মৃত’র পরিবারের সরাসরি অভিযোগ,সুকুমার কে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছেন কাকু,কাকিমা ও তাদের দুই ছেলে।ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের লোকেরা।
মৃত’র ভাই বিষ্ণু সাহা জানান,দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা প্রাচীর দেওয়া কে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে তার কাকুর পরিবারের বিবাদ ছিল।এই নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশি সভাও বসে। কয়েকদিন আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় তার কাকু
তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি পরিদর্শনও করে যায়।বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ পুলিশ দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলেন।উভয় পক্ষের
বাদী-বিবাদীরা থানায় গেলেও বাড়িতে একাই থেকে যায় তার ভাই সুকুমার সাহা ও কাকুর দুই ছেলে দীপঙ্কর সাহা ও প্রদীপ সাহা।ইতিমধ্যে বাড়ি ফাকা পেয়ে কাকুর দুই ছেলে সীমানা প্রাচীর ভাঙতে শুরু করেন।ভাই সুকুমার সাহা
বাধা দিতে গেলে তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
ভাই ফোন করে সব ঘটনা জানান।থানায় সমাধান হওয়ার আগেই তার কাকু ও কাকিমা বাড়ি চলে আসেন।ঘন্টাখানেক পরেই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনতে পান।বাড়িতে এসে দেখেন ভাই ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে।তড়িঘড়ি করে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারবাবুরা মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।তবে তার ভাই আত্মহত্যা করেননি,তাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে খুন নাকি আত্মহত্যা।