নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:–– বাম আমলে প্রতিষ্ঠিত হাটের সূচনালগ্ন থেকে ক্যাজুয়ালি ভাবে কাজ করে আসছেন পাঁচ কর্মচারী।দীর্ঘ ২২ বছর কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত হয়নি সরকারিভাবে স্থায়ীকরণ।সরকারি দপ্তরে বারবার দরবার করেও হয়নি কোন কাজ।আজ অবসরের মুখে কর্মচারীগণ।হাটে একাধিক পোষ্ট খালি থাকা সত্ত্বেও হচ্ছে না কোনো নিয়োগ।এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অস্থায়ী পাঁচ কর্মচারী।জানা গেছে মালদা জেলার সব থেকে বড় হাট তুলসীহাটা বীরেন্দ্র কুমার মৈত্র উপ বাজার চত্বর।২০০০ সালে তৎকালীন বাম আমলের মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার মৈত্রের হাত ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা এলাকায় সাপ্তাহিক হাটের সূচনা হয়।সেই সময় সামান্য বেতনে হাটের দেখাশোনা করার দায়িত্ব পান আরিফুল রহমান,অমল চন্দ্র সাহা,আরিফুর রহমান,
অশোক রাম ও মাহাবুব আলম।২০০৯ সালে অশোক রাম মারা যায়।এর পরিবর্তে ২০১১ সালে সেই কাজে নিযুক্ত হয় তার স্ত্রী আরতি রাম।হাট ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।তাঁদের কাজের দায়িত্বও বাড়তে থাকে।টোল কালেকশন,ছাড়পত্র ও ইউ পারমিট ছাড়াও
সপ্তাহের বাকি দিনগুলো দিনের বেলা দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন
তারা।বর্তমানে তারা পেতন পান ১৬,৫০০ টাকা।এই দ্রব্য মূল্যের বাজারে এই সামান্য বেতনে সাংসারিক খরচ,চিকিৎসা ও ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা খুবই কষ্টসাধ্য।স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তারা জেলা থেকে রাজ্য সরকারি দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।হয়নি কোন কাজ। কবে সরকারিভাবে স্থায়ীকরণের নিয়োগপত্র পাবেন সেই আশাতে কাটছে তাদের দিন।
মালদা জেলা RMC সম্পাদিকা মিতা সাহা জানান,এই ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।যা কিছু বলার জেলা শাসক বলবেন।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা বাম আমলে প্রতিষ্ঠিত হাটের সূচনালগ্ন থেকে ক্যাজুয়ালি ভাবে কাজ করে আসছেন পাঁচ...