নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৪ জুন:—–অভাবের তাড়নায় রুজি রুটির টানে মালদহ থেকে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিল পুরাতন মালদার স্বামী-স্ত্রী। প্রায় দেড় মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে কাজ সেরে চেন্নাই স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার পথে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে স্বামী-স্ত্রী। এতে গুরুতরভাবে দুজনেই জখম হয়ে বর্তমানে উড়িষ্যার সারোলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বাড়িতে খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েন। পাশাপাশি পরিবারের বড় ছেলে বালেশ্বরের উদ্দেশ্যে গতকালের রওনা দেয় তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য। এদিকে ঘরের ছেলে ও বউ দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে পরিবারের সকলকে। ঘরের ছেলে ও বউ সুস্থ স্বাভাবিক বাড়ি ফের ত সে আশায় তাকিয়ে বাবা-মা ও আত্মীয় পরিজনের।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভাবের সংসারের জন্য ভিন রাজ্যে স্বামী স্ত্রী মিলে কাজে পাড়ি দিয়েছিল। তবে আকস্মিক ভাবে এই দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না বাড়ির কেউ। জানা গিয়েছে, আহতদের নাম পরিতোষ মন্ডল (৩৩) এবং সেবিকা মন্ডল (২৫) এরা দুজনেই স্বামী স্ত্রী। বাড়ি মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানী অঞ্চলের খুনিবাথান বলরামপুর এলাকায়। তবে বাড়িতে রয়েছে দুই সন্তান ৮ বছরের মেয়ে এবং ৭ বছরের ছেলে। পাশাপাশি বাবা-মা এবং দাদা বৌদি।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে গত দেড় মাস আগে বেঙ্গালুরুতে শ্রমিকের কাজে যায়। তবে বাড়ি ফেরার পথে ফোনে কথা হয়েছিল কিন্তু উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যার ফলে গুরুত্ব ভাবে দুজনেই যখন হয়েছে তাদেরকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য মালদা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য করে লোক পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে মালদা জেলার মোট ২৫ জন যাত্রী ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তার মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৩ জন বাড়ি ফিরে এসেছে, ২ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং বাকি ১৯ জন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তারমধ্যে পুরাতন মালদার এই দুইজন স্বামী-স্ত্রী রয়েছে। তবে যাত্রী সংখ্যা পরে আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং মালদা টাউন স্টেশনে হেল্পডেক্স খোলা হয়েছে।