বর্তমানে চলছে জৈষ্ঠ মাস বাজারে মিলছে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে তালশাঁস।

0
301

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বর্তমানে চলছে জৈষ্ঠ মাস। বাজারে মিলছে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে তালশাঁস। বর্তমানে জৈষ্ঠের তীব্র দাবদাহের মধ্যেই বাজারে চলে এসছে তালশাঁস। গ্রীষ্মের সময় তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান জল। যা অনেকটা ডাবের জলের মতোই। এতে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান থাকে। নদিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় সাত সকাল থেকেই তাল শাঁস বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা। তালশাঁসকে বলা হয় তালের কচি আঁটির শাঁস। ইংরেজিতে এটিকে বলা হয় আইস আপেল।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সাথে নদিয়া জেলার অন্যতম কৃষ্ণগঞ্জ এবং মাজদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর তাল শাঁস নিয়ে বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা। ১০ টাকাতে তিনটি তাল শাঁস বিক্রি করছেন। দিনের শেষে এক থেকে দেড় হাজার টাকা রোজগার করে বাড়ি ফিরছেন তারা। তবে জানেন কি গুন রয়েছে এই তাল শাঁসের। কি এই তাল শাঁস। পুষ্টিবীদদের মতে, ডাবের জল এবং তালের শাঁসের গুণাগুণ একই রকমের। দুইটিই খোলসের ভিতরে থাকে। ডাবের জলের পুরোটাই তরল, অন্যদিকে তালের শাঁসে কিছুটা শক্ত অংশ থাকে। গ্রীষ্মে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তালের শাঁস।

প্রচণ্ড গরমে তালের কচি শাঁস এবং এর ভেতরের মিষ্টি জল তৃষ্ণা মিটিয়ে শরীরে এনে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি। এছাড়া এ সময় তাপমাত্রার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়া ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে এটি। অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে যে জল বেরিয়ে যায় তা পূরণ করতে সাহায্য করে তালের শাঁস। তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে জলশূণ্যতা দূর করতে সাহায্য। তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারি।

তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে।প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। অনেক সময়ে অ্যাসিডিটির ফলে বমিভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। কচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।