মনিরুল হক, কোচবিহার: আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত দুই দিন ধরে নমিনেশন তুলছে সমস্ত রাজনৈতিক দিল গুলো। কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় নমিনেশন তোলা নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দিন দুই একটি জায়গায় বিক্ষুদ্ধ ঘটনা ঘটেছে। তারপর আজ কোচবিহার ল্যাঞ্জডাউন হলে জেলা শাসকের নির্দেশে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। সেই বৈঠকে বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস, ফরোয়ার্ড ব্লক, আম আদমি পার্টি ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গেছে, ওই সর্বদলীয় বৈঠক চলাকালীন জেলার বিজেপি-সিপিআইএম-ফরোয়ার্ড ব্লক দলের নেতারা জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান,জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বিরোধীদের নমিনেশন তুলতে গেলে হুমকি দিচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। তাই আমরা রাজ্য পুলিশে ভরসা করতে পারছি না। কারণ রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের দলোদাসে পরিণত হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়া অসম্ভব। তাই অবিলম্বে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেন, পঞ্চায়েতে নির্বাচনে যে ভোট কর্মীরা কাজ করতে যাবে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। যদিও তাদের ওই দাবীকে মান্যতা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
যদিও বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আমাদের ১০০ শতাংশ ভরসা রয়েছে রাজ্য পুলিশের উপর। এসপি যদি একা দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে পারে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। রাম-বামেরা সর্বদলীয় বৈঠকে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা। আমরা বলছি পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে না। কোচবিহারে যত কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে তা রাম-বাম ভাগাভাগি করে নিতে পারে। আমরা চাই পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হোক। আসলে স্বপ্ন দেখে যদি আটকে ওঠে কেউ আমরা তো কিছু করতে পারবো না।