আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ প্রথম বেলার অ-আ-ক-খ পড়া, শৈশব স্মৃতির কথা কেউ কোনদিন ভুলতে পারে না। সেই সোনাঝরা দিন গুলি আজও ভীষণভাবে নাড়া দেয়। মন উদাস করে দেয়, অনাবিল আনন্দ জাগে মনে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ার সময় নতুন বই পেলে মনে আর আনন্দ ধরত না। বইয়ের সেই সুন্দর একটা গন্ধ আজও স্মৃতি পটে জেগে আছে। নতুন বই গুলির ছবিগুলি পাতার পর পাতা উল্টিয়ে দেখতাম। ছবির দেশে হারিয়ে যেতাম। আঠা জাতীয় এক ধরনের পাকা ফল গাছ থেকে পেড়ে সেই ফলের আঠা দিয়ে প্রতিটি বইতে মলাট দিতাম।বউলগোটা বা বয়েরকুড়ি হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় ভাবেয বোহাল,বহুবরা,বোহরি নানা নামে পরিচিত। মুছে যাওয়া দিনগুলি আজও আমাদের নাড়া দেয়। সেই ফলের আঠা আবার চিঠি আর খামের মুখ লাগানো সহ কত যে কাজে ব্যবহার হতো তার ইয়াত্তা নেই। বর্তমান যান্ত্রিক যুগে এসেছে অনেক আঠা। যেমন ডেনড্রাইট, ফেবিকল, সেলোটেপ আরো কত কি। হয়তো এই আঠাগুলোর কার্যক্ষমতা অনেক বেশি। কিন্তু এইসব আঠা গুলি খুব বিষাক্ত। এই আঠা গুলি দারুন ভাবে শারীরিক ক্ষতি সাধন করে। বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারে ধন্য আমরা। বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে শৈশবের সেই সব আবেগগুলি।