দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সুকান্তর মুখেও এবার খেলা শুরু র কথা।পঞ্চায়েত ভোট ঘোষনার পরদিনই বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন পেশ করতে তেড়ে ফুড়ে মাঠে নামলেও সে ভাবে তৃনমুলকে সে ভাবে এখনও নামতে দেখা যায় নি, যদিও দক্ষিন দিনাজপুর সহ বিক্ষিপ্ত কিছু জেলায় নাম ঘোষনার আগেই স্বঘোষিত হিসেবে কিছু তৃনমুল নেতা কর্মীকে মনোনয়ন পেশ করতে দেখা গেছে, সে প্রসংগেই এক প্রশ্নের জবাবে খেলা শুরুর কথা বলেন রাজ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি তার এপ্রসংগে আরো দাবি তাদের কাছে বিশেষ সুত্রে প্রাপ্ত খবর রয়েছে তৃনমুল এবার তাদের পুরনো নেতা ববি হাকিম, মলয় ঘটক, পার্থ চ্যাটার্জীদের যত অনুগামী রয়েছে সেই সমস্ত পুরনো কর্মীদের ছাটাই করে নব্য তৃনমুল অভিষেকের ঘনিষ্ট অনুগামীদের কাছ থেকে মোটা অর্থ নিয়ে প্রায় ৩২ হাজার নতুন প্রার্থীর তালিকা চুড়ান্ত করেছে। তারপরেই সুকান্ত যোগ করেন সেই জন্যই তো বলছি খেলা শুরু হবে। তালিকা বেড়লেই দেখবেন তৃনমুল নিজেদের মধ্যেই খেলা শুরু করে দেবে । রক্ত ঝরবে।সবে তো যেখান থেকে নবজোয়ার শুরু করে ছিলেন, সেই কুচবিহারের দিনহাটাতেই গতকাল রাত্রে নিজেদের গোষ্টী সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে মাত্র।ভাইপো যেখানে যেখানে গেছে সেখানেই বেশি রক্ত ঝরবে বলে জানান তিনি। আগে ওরা নিজেদের মধ্যে রক্ত ঝরাক বিজেপির রক্ত ঝরাতে আসলে বিজেপি নিজের টা বুঝে নেবে বলে সুকান্ত দাবি করেন আজকে বালুরঘাটে তার দলীয় অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠকে।
এর পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারে বামেদের দিকে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ভোট ব্যাংক নষ্ট করতে ও বামেদের রাজ্যে প্রাসংগিকতা বজায় রাখতে বামেদের সাথে তৃনমুলের তলে তলে একটা বোঝাপড়া হয়েছে। এর মধ্যস্থতাকারী হলো আপ এর কেজরীওয়াল।তাই হিন্দু এলাকায় বামেদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু ভোট ভাগ করার জন্য, বলে সুকান্ত বাবু দাবি করেন।অপরদিকে গতকাল ভোটের কাজ করতে গিয়ে তৃনমুলের দ্বারা এক সরকারি কর্মীর প্রহৃত হবার ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের প্রসংগে সুকান্ত বাবু বলেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নটা আমাকে না করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে করা উচিত। কেননা যিনি বলেন রাজ্য পুলিশ আর সিভিক দিয়ে( যদিও আদালতের নির্দেশ রয়েছে সিভিককে দিয়ে আইন শৃখ্যলার কোন কাজ করা যাবে না, তাও করানো হচ্ছে, পুরো বিষয়টি আদালত অবমাননার সামিল বলে সুকান্তর দাবি ) এবারের ভোট তিনি করাবেন। সুকান্তর পালটা প্রশ্ন রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে গিয়ে সরকারি কর্মীদের মার খেতে হয়, তাদের জীবন সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য পুলিশ ব্যার্থ হয় তবে তারা কেন ভোটের কাজ করতে যাবে বলে সুকান্তর দাবি।ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে আসার কথা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে বলা হলেও রাজ্য বিজেপির সভাপতি তাতে সম্মত নন, তার দাবি তৃনমুলের দুষ্কৃতিরা খাকি ড্রেস পরা পুলিশ পেটাতে অভস্ত্য হয়ে গিয়েছে, একমাত্র জলপাই রং পড়া পুলিশ দেখলেই তারা ভয়ে পালায়। তাই তাদের দাবি অবাধ ও শান্তিপুর্ন ভোট করাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।
অন্যদিকে বীরভূমে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে, এপ্রসংগে সুকান্ত বলেন আগে সেখানে যে চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজানোর কথা বলত এখন তো তাকে তিহারে ঢাক বাজানো হচ্ছে। এরপাশাপাশি গতকাল রানীনগর থেকে মুর্শিদাবাদ জুড়ে অস্ত্রের ঝনঝনানির শব্দ শোনা যাচ্ছে সে প্রসংগে বলতে গিয়ে বলেন গনতন্ত্রে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নেই। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসাতে তৃনমুল এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে তৃনমুলের সন্ত্রাসে এক কংগ্রেস কর্মীর প্রান গিয়েছে। এপ্রসংগেই সুকান্ত তাদের দল বিজেপি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন আগের বিজেপি ও এবারের ভোটের বিজেপি একদম অন্য বিজেপি, তাই যারা এসব করতে আসবে তারা যেন এসব ভেবে আসে।
অন্যদিকে গতকাল শিলিগুড়িতে দার্জিলিং এর সাংসদ রাজু বিস্ত এর সাথে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামারো পার্টির নেতৃত্বদের বৈঠক প্রসংগে সুকান্ত মজুমদার সাংসদের দার্জিলিং এলাকার উন্নয়ন মুলক কাজের প্রশংসা করে বলেন, উনি যা কাজ করেছেন তাতে শুধু এরাই নয় সবাইকেই আসতে হবে। বিজেপি ই পারে একমাত্র পাহাড়কে ভাল কিছু দিতে। এরপরেই তার সংযোজন আজ দুপুর তিনটে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর ভেতরেই এসংক্রান্ত খবর পেয়ে যাবেন সবাই বলে তিনি জানান।
এখন দেখার দার্জিলিং দ্বীস্তর পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন কি ঘটনা ঘটে সেদিকে তাকিয়ে উত্তরের মানুষজন।