বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ই ডি র ডাক হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির ডাকের মত, রাধা যেমন সেই বাশির ডাকে অন্তরে ব্যাথা অনুভব করে দৌড়ে যেত, ই ডি যখন একবার ডেকেছে অভিষেককেও আজ না হয় কাল যেতে হবে দৌড়ে দৌড়েই যেতে হবে তাকে। আজ ইডির অফিসে অভিষেকের হাজিরা না দেওয়া প্রসংগে বালুরঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এর পাশাপাশি রানীনগরে শাসক কের তান্ডব রুখতে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির মিলিত বিরোধী ঐক্য প্রসংগে বলতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি স্পষ্টতই বলেন বিজেপি চায় এই তৃনমুলের হামলা অত্যাচারের এই অপশাসনকে রুখতে ও রাজ্যে সুশাসনের প্রতিষ্ঠার লক্ষে মানুষকে একত্রিত করে লড়াই চালাতে পাশাপাশি তারা চান একই ছাতার তলায় সব বিরোধীকে নিয়ে এসে শাসকের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে একসাথে নিয়ে লড়াই করতে। গনতন্ত্রে মানুষ সব কথা বলে তাই নিচু তলায় মানুষ যদি এই শাসকের অত্যাচার রুখতে জোট বাধে তাতে স্বাভাবিক ভাবে বলার কিছু থাকে না, বলে তিনি উল্লেখ যোগ্য মন্তব্য করেন। অপরদিকে সাংবাদিক বৈঠকে ভাংগড়ের গন্ডোগোল প্রসংগ উঠে এলে সুকান্ত বাবু জানান গত ২ মে থেকেই তৃনমুলের সৌকত মোল্লা আই এস এফ কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। পুলিশ নিরব দর্শক। যদিও তার দাবি তাদের দল আই এস এফ দলকে সমর্থন করে না। কিন্তু তারাও একটি রাজনৈতিক দল তাই তাদের উপর এই আক্রমন মেনে নেওয়া যায় না। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় গুলি গোলা ও বোমাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা ভাংগড়ের সব ব্যাপারে তৃনমুল ও রাজ্য পুলিশকেই দায়ি করে তার প্রশ্ন যে পুলিশ তৃনমুলি দুষ্কৃতিদের ধরতে ভয় পায়। রাজ্য পুলিশের বন্দুক চালাবে কি পুলিশের সব বন্দুকের নলে মাকড়সার জাল বুনেছে, তাই গুলি বেড়তে চায় না।সেই রাজ্য পুলিশ দিয়েই নাকি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট করাতে চায়। তাই অবাধ ও ধান্তিপুর্ন ভোট করবার ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর দাবি জানিয়েছি।পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শাসক দল হামলা চালাচ্ছে, উত্তরবংগের চোপড়ায় মনোনয়ন কেন্দ্র গুলির বাইরে শাসক দলের গুন্ডারা সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং চোপড়ার মনোনয়ন কেন্দ্র সেখান থেকে সরিয়ে ইসলামপুরে করার যেমন দাবি জানাচ্ছি। শাসকের হামলা রুখতে ও হানাহানি রুখতে তেমনি জরুরি ভিত্তিতে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেবার ব্যাপারে দাবি জানাচ্ছি বলে তিনি জানান।
অপরদিকে গতকাল জি এস টি খাতে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা পাঠানো প্রসংগে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন রাজ্যের শাসক দল এই নিয়ে বরাবর মানুষের কাছে মিথ্যে ও ভুল বুঝিয়ে এসেছে। এদের কাজ মিয়াথ্যে কথা বলা। অথচ গত বছর ও তারা অনান্য রাজ্য থেকে বেশি টাকা পেয়েছে, এ বার ও পাচ্ছে। আমরা চাই এই খাতে পাওয়া টাকা রাজ্যের উন্নয়নের সঠিক কাজে ব্যবহার যাতে হয় সে দিকে নজর দিক রাজ্য। পুরো টাকাটা আবার না নেতাদের পকেটে চলে যায়। পাশাপাশি তার দাবি এই টাকাতে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ডিএ যেমন দিয়ে দিতে পারবেন। তেমনি যারা চাকরির জন্য রাস্তায় বসে আছেন তাদের চাকরিও দিতে পারবেন। আশাকরি সরকার সেদিকে নজর দেবে।
আদালত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনও তাদের মতামত জানায় নি জানালে দেখা যাবে। অপরদিকে রাজ্যের ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যদের বেতন আটকানোর প্রসংগে সুকান্ত বাবু বলেন পুরো বিষয়টি রাজ্যপাল আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ও ইউ জি সি রুল অনুযায়ী করেছেন। তাই বিষয়টি যখন আদালতে যাবে তখন ফের একটা থাপ্পড় খাবে রাজ্য সরকার আদালতের কাছে বলে মন্তব্য করেন। তার মতে আগের যারা উপাচার্য্য ছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই অযোগ্য ছিলেন ও সেখানে ইউ জি সি রুল ফলো করা ছিল না । তাই সবাই ভয়েই পদত্যাগ করেছিল বলে তার দাবি।